বিএনএ, ঢাকা: অবশেষে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)র আমদানি করা লো-সালফার ((শুণ্য দশমিক পাঁচ মাত্রা) ফার্নেস অয়েল রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ বাঙ্কার সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশন (বিবিএসএ) এর সদস্যভূক্ত ১০ প্রতিষ্ঠান)। সোমবার বিকালে ঢাকাস্থ বিপিসি’র লিয়াজো অফিসে বিপিসি’ ও অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মেঘনা, পদ্মা, যমুনা পেট্টোলিয়াম লিমিটেড এবং বিবিএসএ এর সদস্যদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার(৯মার্চ) থেকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা পেট্টোলিয়াম লিমিটেড এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত দামে এ তেল পাবেন বলে বাংলাদেশ বাঙ্কার সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশন সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক (বিপণন) মেহেদী হাসান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন মহাব্যবস্থাপক (বন্টন ও বিপণন) মুস্তফা কুদরুত ই. ইলাহী, বাংলাদেশ বাঙ্কার সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশন (বিবিএসএ) সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার, সহসভাপতি মহব্বত আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক এবং পদ্মা, মেঘনা, যমুনা পেট্টোলিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইনস্টেলেশন ম্যানেজারগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিপিসি সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের (‘বাঙ্কার নীতি মালা) অনুয়ায়ি প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ প্রতিষ্ঠান বিদেশগামী জাহাজে সরবরাহের মাধ্যমে লো সালফার ফার্নেস অয়েল রপ্তানি করার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত জামানত দিয়ে চুক্তি করেছে পদ্মা, মেঘনা,যমুনা পেট্টোলিয়াম লিমিটেড এর সঙ্গে। পরবর্তীতে ৫ শত টনের জাহাজ আছে, ১০ বছরের বাঙ্কার সরবরাহের অভিজ্ঞতা আছে এমন প্রতিষ্ঠানও লো-সালফার রপ্তানির সুযোগ পাবেন।
সূত্র আরও জানায়, সমুদ্র দূষণরোধে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন ( আইএমও) সারা বিশ্বে সমুদ্রগামী জাহাজে লো-সালফার জ্বালানি তেল ব্যবহার করার নির্দেশনা জারি করে। তারই ফলশ্রুতিতে আইএমও সনদে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ১৫ হাজার টন লো-সালফার অয়েল আমদানি করে। দেশের সমুদ্র বন্দর সমূহকে নো বাঙ্কারিং পোর্ট থেকে রক্ষা এবং জাহাজে জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড এর সঙ্গে বাংলাদেশ বাঙ্কার সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশন-বিবিএসএ সদস্য প্রতিষ্ঠান গুলোর সঙ্গে চুক্তিও সম্পাদিত হয়।
প্রসঙ্গতঃ ২০১৪ সালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাঙ্কার নীতিমালায় রপ্তানি করা তেল শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করে। কিন্তু দেশে প্রথমবারের মতো আমদানি করা এই লো-সালফারে শুল্কমুক্ত নাকি শুল্কযুক্ত এনিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি হয়। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়। কিন্তু সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। ফলে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয় প্রায় ৬০ কোটি টাকার আমদানীকৃত ফার্নেস অয়েল।
এ অবস্থায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিদেশগামী দেশি-বিদেশি জাহাজে জ্বালানি সরবরাহে শুল্ক আরোপ করা হবে না বলে পরিপত্র জারি করে। তাতে অবসান হয় শুল্ক জঠিলতার।
বিএনএ/ ওয়াইএইচ/ এসজিএন