30 C
আবহাওয়া
৭:৩৩ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মাদক সেবী আর ভবঘুরদের নিরাপদ স্থান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

মাদক সেবী আর ভবঘুরদের নিরাপদ স্থান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

মাদক ব্যবসায়ী আর ভবঘুরদের নিরাপদ স্থান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

বিএনএ,ঢাকা: রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এখন নিরাপত্তা স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে মাদক সেবী ও ভবঘুররা।২৪ ঘন্টাই চলে তাদের কারবার।রাত যত গভীর হয় তখন ভবঘুররা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে।এখন শহীদ মিনার এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।এই এলাকায় দিনে রাত ছিনতাই হচ্ছে।বেশির ভাগই মাদক সেবীরা এসব ঘটনা ঘটিয়ে থাকে বলে জানা গেছে।শহীদ মিনারকে অনেকেই বিনোদন এলাকা মনে ঘুরতে আসেন।এই আশা যাওয়ার মাঝে সাধারণ মানুষকে ওই চক্রদের কাছে টাকা ও স্বর্ণ অলংকার খোয়াতে হয়।

মঙ্গলবার(৯ ফেব্রুয়ারি)দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ মিনারে সামনে ২ থেকে ৩ জন যুবক আবুল কালাম নামে এক রিকশা আরোহীর গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

আবুল কালামের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ব্যবসায়ীক কাজে তিনি গুলিন্তান থেকে রিকশায় করে নিউমার্কেটে যাচ্ছিলেন।যাবার পথে শহীদ মিনারে সামনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। তারা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, অনেকবার শুনেছেন শহীদ মিনার এলাকায় দিনে রাতে প্রায় ছিনতাই হয়। মঙ্গলবার তাদের কবলে পড়ে সেটি বুঝেছেন।এদিকে,গত ৩১ জানুয়ারি শহীদ মিনারে পশ্চিম পাশ থেকে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কমল কৃষ্ণ সাহা জানান, গত ৩০ জানুয়ারি রাত তিনটার দিকে মিম আক্তার (১৪) নামের কিশোরীর নিথর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।মিম বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহাড় মোহাম্মদ আলী হোসেনের মেয়ে।

তিনি আরও জানান, নিহতের গলায় অর্ধচন্দ্র ও হাতে পুরাতন কালো দাগ রয়েছে।এছাড়া পিঠের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের মামা সালমান জানান,গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে পুতুল, হ্যাপি, শিল্পী নামের তিন বান্ধবী মিমকে কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়।তারা কামরাঙ্গীরচর ঝাউচরে হাজী সুলতানের বাসায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকত।২ ভাই এক বোনের মধ্যে মিম ছিল বড়।

এদিকে,ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা.প্রদীপ বিশ্বাস মিমের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেন।তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।

বিএনএনিউজ/আাজিজুল,আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ