বিনোদন ডেস্ক: ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন জনপ্রিয় নাট্যকার-অভিনেতা, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আজম খান। এখনো কোনো হাসপাতালে ভর্তি হননি। বর্তমানে নগরীর ইস্কাটনের বাসায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলছেন তিনি। নগরীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রুহুল আমিন, ডা. কামাল উদ্দিন ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একজন ক্যানসার বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন আজম খান। ক্যানসারের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার মাত্রা নিশ্চিত হওয়ার পরই মূলত চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন এই নাট্যকার। শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ। অনেকগুলো পরীক্ষা করানো হয়েছে। সব রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। যে রিপোর্ট হাতে পেয়েছি দেখে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন আমার গ্র্যান্ড ক্যানসার। কিন্তু ক্যানসারের জীবাণু শরীরের ঠিক কোথায় ছড়িয়েছে, নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরো পরীক্ষা করাতে হবে।
মরণব্যাধি ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলেও আগে থেকে কিছু বুঝতে পারেননি আজম খান। তিনি বলেন, ক্যানসার মনে হয় একটা মানুষের অতীতের সব খোঁজ খবর নিয়ে আসে। এই যে এক সময় বৃষ্টি ভালো লাগতো না। কিন্তু এখন যেন বৃষ্টিকেই আপন মনে হয়। রোদ অসহ্য লাগে। রোদ আমাকে আমার অক্ষমতার কথা মনে করিয়ে দেয়। আমার বন্ধুরা আমাকে দেখতে এসেছিলো খুব মজাই করেছি, একটু পর চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। ভেতরে একটা কষ্ট মোচড় দিয়ে উঠলো। ক্যানসার রোগীর কথা অনেকেই বিশ্বাস করে না। মরে যাবার আগে রোগীরা মিথ্যে বলে না, আমিও কোনো মিথ্যা বলিনি।
ক্যানসারের ভয়াবহ কষ্ট কত কঠিন হতে পারে সে রোগীই জানে। বন্ধুরা ভালো থেকো, অনেক জ্বালা দিয়েছি, কষ্ট নিও না। আস্তে আস্তে শরীরে জোর পাচ্ছি না। সবাই ভালো থাকুক। এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি চিকিৎসা ব্যয় কতটা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেই অঙ্কটা মোটেও ছোট নয়। যা আজম খানের পরিবারের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। তাই প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন তিনি। কলেজ জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন আজম খান। তিনি ফেনী কলেজ ছাত্রলীগ শাখার ভিপি ও জিএস ছিলেন।
সর্বশেষ যুবলীগ কনভেনশনের উপকমিটির সদস্য ছিলেন, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর দৈনিক জনকণ্ঠে চাকরি করেছেন তিনি। টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের পুনঃপ্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আজম খানের ভূমিকা অসামান্য। সবাইকে একত্রিত করে সংঘকে আরো গতিশীল করার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে এই সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
বিএনএ/আর আর খাঁন