বিএনএ ঢাকা: সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রোববার (৯ জানুয়ারি) এই আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার (নন-জিআরও) কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর ফুয়াদ উদ্দিন।
এর আগে, শনিবার জিডিটি তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে প্রেরণ করেন তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার সাব-ইন্সপেক্টর রাজিব হাসান।
গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান ডা. মুরাদের স্ত্রী জাহানারা এহসান। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মুরাদ হাসান বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন বিকেলে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জাহানারা এহসান।
এদিকে, ডা. মুরাদ হাসানের লাইসেন্স করা দুইটি অস্ত্র জমা নিয়েছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পরিপ্রেক্ষিতে তা জমা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে নিরাপত্তাজনিত কারণে জাহানারা এহসানের লাইসেন্স করা একটি অস্ত্রও জমা নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর ফেসবুক খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন লাইভে তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোল । প্রতিবাদ জানায় সাধারণ জনগণ থেকে বিভিন্ন সংগঠন। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। পরবর্তীতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। এরপর তাকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। বির্তকের মুখে দেশ ত্যাগ করলেও কানাডায় প্রবেশ করতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন তিনি। তারপর থেকেই আড়ালে রয়েছেন ডা. মুরাদ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি