বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষী দেয়ায় এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার ( ৮ জানুয়ারি) বেলা ১টার দিকে বায়েজিদ থানাধীন ডেবারপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আলমগীর (৩০) ও মাহবুব আলম (৩১)।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) র্যাব-৭ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চট্টগ্রামে ধর্ষণ মামলার সাক্ষী দিতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় এক নারী। এ ঘটনা মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। ভিকটিম চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানায় ৬ জনকে মূল আসামি করে অজ্ঞাতনামা ৪ জনসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ২৭, তাং-৩০ নভেম্বর ২০২০ ইং, ধারা- ৯(৩)/৩০, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ তৎসহ ধারা- ৩৭৯/৩৮০/৩৪ পেনাল কোড- ১৮৬০।
এতে বলা হয়েছে, র্যাব এ ঘটনার আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়াতদন্ত শুরু করে। ছায়াতদন্তের এক পর্যায় র্যাব গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে ওই ধর্ষণ মামলার আসামীরা চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানাধীন ডেবারপাড় এলাকার ব্রিক ফিল্ড রোডস্থ বায়তুল মুনাফ জামে মসজিদ এর সামনে অবস্থান করছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে ৮ জানুয়ারি ১টায় র্যাবের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আসামীরা।
এ সময় র্যাব সদস্যরা ওই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আলমগীর (৩০), পিতা- আব্দুল লতিফ এবং সহযোগী আসামী মাহবুব আলম (৩১), পিতা- মৃত শেখ নুর আহাম্মদ, উভয় সাং জামতলা (ডেবারপাড়), থানা- বায়েজিদ, চট্টগ্রাম মহানগরীদের গ্রেফতর করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের নিকট প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, গত ২২ নভেম্বর জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় ধর্ষণ মামলায় সাক্ষী দেয়া এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ওই নারী আকবরশাহ থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে তারা। আসামীদের আকবরশাহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আমিন