ঢাকা : খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় এক লাখ পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন নির্মাণাধীন রাইস সাইলো এবং পঞ্চাশ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতসম্পন্ন নির্মাণাধীন গমের সাইলো পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাল এবং গমের সাইলো নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশনা দেন। বিগত সরকারের সময় একাধিকবার এ প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করার পরও কাজ শেষ না হওয়ায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
রবিবার(৮ ডিসেম্বর) উপদেষ্টা দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান ধান-চাল ও গমের মজুত বৃদ্ধি এবং গুদামের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ধান চাল এবং গমের মজুত বৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকার ইতোমধ্যে ধান-চাল এবং গমের মজুত বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি একাধিক দেশ থেকে চাল ও গম সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমাদের দেশে গমের চাহিদা বছরে প্রায় ৭০ লাখ মেট্রিক টন। দেশে উৎপাদন হয় প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন, বাকি প্রায় ৬০ লাখ মেট্রিক টন বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। দেশে খাদ্য মজুতের সক্ষমতা আছে কম-বেশি ২২ লাখ মেট্রিক টন। সরকার এটা বৃদ্ধি করে ৩০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করার জন্য কাজ করছে। এটা করতে পারলে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আশুগঞ্জে নির্মাণাধীন রাইস সাইলো পরিদর্শনকালে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ২৪,এসজিএন