15 C
আবহাওয়া
১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে সাংবাদিক-পুলিশ মিলে ডাকাতির ছক, এএসআই গ্রেফতারে তোলপাড়

চট্টগ্রামে সাংবাদিক-পুলিশ মিলে ডাকাতির ছক, এএসআই গ্রেফতারে তোলপাড়

চট্টগ্রামে সাংবাদিক-পুলিশ মিলে ডাকাতির ছক এএসআই গ্রেফতারে তোলপাড়


বিএনএ, চট্টগ্রাম: দুই রোহিঙ্গা নারীর বাসায় ডাকাতির দায়ে পুলিশের এএসআই গ্রেফতারের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। গ্রেফতার এএসআই ফারুক মিয়াকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। নগরীর কল্পলোক আবাসিক এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় এএসআই ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতিও চলছে। গত শুক্রবার বরখাস্ত এএসআইসহ ছয়জনকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ছয়জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

একটি সূত্র জানায়, ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া গ্রেফতার সোহেল রানার। তিনি বান্দরবান থেকে ডিক্লারেশন নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বের হয় এমন একটি পত্রিকার সাংবাদিক বলে নিজেকে পরিচয় দেন। তার কাছেই রোহিঙ্গা ওই দুই নারীর বাসা নেওয়া এবং তাদের কাছে থাকা স্বর্ণালংকারের বিষয়ে তথ্য ছিল। পুলিশ সদস্যসহ অন্যদের নিয়ে তল্লাশির নামে ডাকাতি করে মালামাল লুটের চেষ্টা করা হয়।

সিএমপির এডিসি মফিজুর রহমান বলেন, ডাকাতির দায়ে গ্রেফতার এএসআই ফারুক মিয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জেলহাজতে পাঠানো অন্যরা হলেন-এএসআই ফারুক মিয়ার সহযোগী জয়নাল আবেদীন, আকবর, ফজলুল করিম, মিজানুর রহমান ও সোহেল রানা।

ডাকাতির ঘটনা জানাজানির পর নগরীর বাকলিয়া থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে ভবনের কেয়ারটেকার বাদী হয়ে মামলা করেন। থানার পরিদর্শক রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষর করা জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকার একটি ভবনের ৯ তলার একটি বাসায় ১৬ জনের একটি দল ডাকাতি করতে যায়। তারা ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩৫ হাজার টাকা লুট করে। ডাকাতির সময় আশপাশের বাসিন্দারা টের পেয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। পালানোর সময় এএসআই ফারুকসহ কয়েকজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।

বাকলিয়া থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনায় ভবনের কেয়ারটেকার আবদুল আজিজ বাদী হয়ে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার ছয়জনসহ মোট ৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। আটক ছয়জন ছাড়াও এজাহারে মোরশেদ, ওমান ও শাহীন নামে আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় কেয়ারটেকার আবদুল আজিজ উল্লেখ করেন, দুই মাস আগে দুটি ফ্ল্যাট ওই দুই রোহিঙ্গা নারীর বাবা ও শ্বশুরকে ভাড়া দেন। গত ৫ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে আসামিরা তার কাছে ভবনের মালিকানাসহ রোহিঙ্গাদের ফ্ল্যাটের বিষয়ে জানতে চান। তাদের রোহিঙ্গা দুই নারীর ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলে ‘পুলিশের লোক’ এবং ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে তল্লাশি চালায়। এক পর্যায়ে তারা আলমারির চাবি নিয়ে ৩৫ হাজার টাকা, ৪ জোড়া কানের দুল, ৩টি আংটি, ২ জোড়া বালা ও একটি লকেটসহ মোট ৮ ভরি ওজনের স্বর্ণ লুট করে। এ সময় ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে কেয়ারটেকার তাদের কথাবার্তা শুনে বুঝতে পেরে সতর্ক হয়ে যান। এক পর্যায়ে ডাকাতি করে পালানোর সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ধরে ফেলেন।

সিএমপির এডিসি (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, কল্পলোক আবাসিকের একটি ভবনে থাকা রোহিঙ্গাদের বাসায় ডাকাতি করে পালানোর সময় প্রথমে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের এএসআইকে বাকলিয়া থানা পুলিশই আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে।

বিএনএনিউজ/ নাবিদ/এইচমুন্নী 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ