বিএনএ, কুবি: নানা কর্মসূচীতে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস’ পালন করলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আঞ্চলিক সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর মাধ্যমে এ আয়োজন শুরু হয়। পরে বাদ মাগরিব স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল শহীদের জন্য দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি রিফাত আহমেদ বলেন, ‘প্রতি বছরই আমরা এই দিনটিকে স্বরণে রাখার জন্য নানা কর্মসূচীতে এই দিবসটি পালন করে থাকি। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও বাদ মাগরিব স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল শহীদদের জন্য দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করেছি।’
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রবেশ করে। শহরের চারপাশে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর শক্ত অবস্থানে থাকায় হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। পরদিন ৭ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। ৮ ডিসেম্বর বিনা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।
বিএনএনিউজ/আদনান/ বিএম