বিএনএ, ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পিছিয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন কর্মসূচি রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে নির্বাচন কমিশন কিছু না বললেও একে তফসিল অন্তত ১৪ নভেম্বরের পর পর্যন্ত পিছিয়ে যাবে।
সরকারি দলের একাধিক সূত্র জানায়, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করা এবং মেয়াদের শেষবেলায় নিজেদের আরেকটু গুছিয়ে নিতে চাইছে সরকার। সে জন্য তারা ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় নিতে চায়। যদিও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বা তারিখ চূড়ান্ত করার ক্ষমতা একমাত্র নির্বাচন কমিশনের। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকারের সহযোগিতাও গুরুত্বপূর্ণ।
দলীয় একাধিক সূত্র মতে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সরকার শুধু নৈমিত্তিক কাজ করতে পারবে। নির্বাচনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করতে পারবে না। যেমন—এ সময়ে প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন করবেন। একইসঙ্গে তিনি ওইদিন কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন।
১৩ নভেম্বর খুলনায় ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ১৪ নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। বাকি দুটি প্রকল্প হচ্ছে বাকলিয়া এক্সেস রোড এবং ফৌজদারহাট–বায়েজিদ লিংক রোড।
একই দিন প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
ফলে সরকার মনে করছে, ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে তাদের এই কাজগুলো করতে সুবিধা হবে।
সম্প্রতি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন খুব শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হয়ে যাবে। তখন কোনো উদ্বোধন আমরা করতে পারব না, সরকারের কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরুও করতে পারব না। তখন আমরা জাস্ট রুটিন ওয়ার্ক করব।’
আগামী সপ্তাহে, ১২-১৪ নভেম্বর তফসিল হতে পারে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তখন গণমাধ্যমে জানানো হবে। নির্বাচন কমিশনের যেসব প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে তার সব এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচনী মালামালও ধাপে ধাপে জেলা পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে।
বিএনএ/এমএফ