বিএনএ ঢাকা: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ভাড়া বাড়ানোর দাবি মেনে নেয়ায় ৬০ ঘণ্টা পর ঘুরছে বাসের চাকা। সোমবার (৮ নভেম্বর) ভোর থেকে সারাদেশে পুরোদমে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। অবশ্য রোববার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর সীমিত পরিসরে বাস চলাচল করে।
বাস চলাচলের খবর শুনে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্টপেজে ভিড় করছেন যাত্রীরা। দীর্ঘসময় পর বাস চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।
যাত্রীরা জানান, গত দুইদিন বাস চলেনি, যাতায়াত করতে খুব সমস্যা হয়েছে। তবে অনেকে বাড়তি ভাড়া ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, ডিজেল ও সিএনজিচালিত বাসের ভাড়া কিভাবে নির্ধারণ হবে সে বিষয়টি খোলাসা করেনি বিআরটিএ। যাত্রীর কাছে ভাড়া আদায়ে কোন বাসটি সিএনজিতে চলে আর কোনটি ডিজেলচালিত সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। সাধারণ মানুষের কাছে এ বিষয়গুলো খোলাসা না করাই বিআরটিএ’র সমালোচনা করছেন অনেকে।
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ বিষয়ে কঠোরভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সড়কে যাতায়াতে পরিবহন চালক-শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রীদের বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার (৭ নভেম্বর) ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে বিআরটিএ’র সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। সেখানে পরিবহন ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এরপর এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এতে বলা হয়,দূরপাল্লার বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা। যেখানে আগে ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। অর্থাৎ কিলোমিটারে বাড়তি ৩৮ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া মহানগরে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা। সেটা ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হয়েছে। প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বেড়েছে ৪৫ পয়সা। মহানগরে মিনিবাসের বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি বাড়িয়ে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটার প্রতি ৪৫ পয়সা ভাড়া বাড়ানো হলো।
ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে গত ৫ নভেম্বর সকাল থেকে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি