23 C
আবহাওয়া
৯:২২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রথম জামিন পেলেন সাবের হোসেন

অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রথম জামিন পেলেন সাবের হোসেন

অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রথম জামিন পেলেন সাবের হোসেন

বিএনএ, ঢাকা: খিলগাঁও থানার চার মামলায় সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ৫ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন। আজ সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিটে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সাবেক প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী হাজতখানা থেকে মুক্তি পান।

সাবের হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন বলেন, অসুস্থ থাকায় তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলেন, অসুস্থতার কথা বলে ম‍্যাজিকাল কারণে সাবের হোসেন চৌধুরীকে জামিন দেয়া হয়েছে।

এদিকে, সোমবার (৭ অক্টোবর) বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিতে মকবুল নামের বিএনপির এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার সাবের হোসেন চৌধুরীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে, রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সাবের হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি টিম গুলশানের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে সাবেক এই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সবশেষ মন্ত্রিসভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। ২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ১৯৯৬ সালে ঢাকা-৬ নির্বাচনী আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নৌপরিবহন উপমন্ত্রী হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ থেকে ১৫ জুলাই ২০০১ পর্যন্ত তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। ২০০৩ সালের জানুয়ারি এবং অক্টোবর মাসে তিনি কারান্তরীণ থাকেন। ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা তাঁকে আখ্যায়িত করে ‘বিবেকর বন্দী’ হিসেবে। সে সময় এই সংস্থাটি তার মুক্তির দাবিতে ‘আর্জেন্ট অ্যাকশন’ শীর্ষক ধারাবাহিক প্রচারণা চালিয়েছিল।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন পুনর্বণ্টনের ফলে তার নির্বাচনী এলাকাটি হয় ঢাকা-৯ আসন। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির শিরিন সুলতানাকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৬ অক্টোবর ২০১৪ সালে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ২৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ভোটে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি তিন বছরের জন্য আইপিইউর প্রেসিডেন্ট হন।

বিএনএনিউজ/ বিএম/ এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ