বিএনএ, চবি: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে বৈঠকেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, চব্বিশের আন্দোলনে আসার সময় কাউকে জিজ্ঞেস করি নাই, কে সরকারি চাকরি করে, কে করে না। কি বিসিএস ক্যাডার, কে ক্যাডার না। কে হুজুর, কে হুজুর না। সুতরাং গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমাদেরকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। আপনারা জানেন, ফ্যাসিস্ট শুধু শেখ হাসিনা ছিলো না। ফ্যাসিস্ট ইন্সটিটিউট ছিল, ফ্যাসিস্ট এডমিনিস্ট্রেশন ছিল, ফ্যাসিস্ট থিওলজি ছিল, ফ্যাসিস্ট কালচার ছিল, ফ্যাস্টিস্ট ড্রেসআপ ছিল। আমাদের প্রত্যেকটি জায়গায় ফ্যাস্টিস্ট বিরাজমান ছিল। আপনাদের আশপাশে বাজার কমিটির সভাপতি, মসজিদ কমিটির এবং নাপিত কমিটির সভাপতি ইত্যাদি সংগঠন তৈরি করে সিন্ডিকেট বানিয়ে শেখ হাসিনা ফ্যাসিজমের বীজ প্রোথিত করেছে৷
মতবিনিময় সভায় চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সাথে ইতিপূর্বে যেসব গোপন চুক্তি হয়েছে সেগুলো বাতিল করতে হবে। দেশের সকল মানুষকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে যাতে কোন দেশের রক্তচক্ষু দেখে আমরা ভয় না পাই।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ওঁং, খান তালাত মাহমুদ রাফি, হাটহাজারী মাদরাসার সমন্বয়ক মোহাম্মদ জুনায়েদ। এতে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তারা সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। মতবিনিময় সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের শহীদ তানভীর সিদ্দিকের বাবাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
বিএনএ/ সুমন