27 C
আবহাওয়া
১২:১৯ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সমুদ্র সম্পদ রক্ষা ও আহরণে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের পরামর্শ

সমুদ্র সম্পদ রক্ষা ও আহরণে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের পরামর্শ

সমুদ্র সম্পদ রক্ষা ও আহরণে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের পরামর্শ

বিএনএ ডেস্ক: দেশের সমুদ্র সম্পদ রক্ষা ও আহরণে ‘সমুদ্র সম্পদ মন্ত্রণালয়’ নামে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার (৮ জুন) কক্সবাজারে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গোপসাগর ও ব্লু ইকোনমি শীর্ষক একটি সেমিনার এ পরামর্শ দেন বক্তারা।

বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সেইফ, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অব.)। বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ।

বঙ্গবন্ধু বে অব বেঙ্গল ফেস্টিভাল-২০২২
বঙ্গবন্ধু বে অব বেঙ্গল ফেস্টিভাল-২০২২

বক্তব্য রাখেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আলী কদর, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য সচিব ড. মো. কাউসার আহাম্মদনসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রির্সাচ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতি: সচিব) আবু সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দেশের সমুদ্র সম্পদ তথা সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে যে যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলো নিয়েছেন তার প্রতি আলোকপাত করেন। বলেন, নতুন মন্ত্রণালয় গঠিত হলে, যথাযথভাবে সমুদ্র সম্পদ আহরণ, দূষণমুক্ত রেখে সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হবে। অবসান হবে মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রাণালয়ে চিঠি চালাচালি ও রশি টানাটানি। আসন্ন বাজেটে সমুদ্র সম্পদ আহরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

সমুদ্র ঘিরে বছরে বিশ্বে প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে প্রায় ৯০০ কোটি। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর খাবার যোগান দিতে সমুদ্রবক্ষে সঞ্চিত সম্পদ ও চলাচলের ওপর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে। তাই ২১ শতকে সমুদ্র অর্থনীতি সকল দেশের কাছেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন উপকূলীয় দেশগুলো সমুদ্রের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি এখন সমুদ্র অর্থনীতির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। থাই উপসাগরীয় দেশ সমূহ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, মরিশাস সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগাতে শুরু করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেই ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে।

বঙ্গবন্ধু বে অব বেঙ্গল ফেস্টিভাল-২০২২
বঙ্গবন্ধু বে অব বেঙ্গল ফেস্টিভাল-২০২২

২০ কোটি মানুষের দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধি করতে সমুদ্র সম্পদ আহরণের বিকল্প নেই উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্র সম্পদ আহরণের বিষয়ে বেশ আন্তরিক। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমুদ্র সম্পদ আহরণ কতটা সম্ভব সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সমুদ্র ও উপকূল নিয়ে ব্লু ইকোনমি। এ দুটি নিয়ন্ত্রণ করছে একাধিক মন্ত্রাণালয়।

বক্তারা বলেন, সমুদ্র অর্থনীতি বলতে শুধু মৎস সম্পদ আহরণকে বুঝায় না। মৎস সম্পদের পাশাপাশি তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদের যোগান দিতে পারে। এছাড়া বন্দর ও জাহাজশিল্প, সমুদ্র পরিবহন এবং সমুদ্র ও উপকূলীয় পর্যটনের মতো প্রচলিত সমুদ্রনির্ভর বাণিজ্য তো আছেই।

বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচল বেড়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এখানে আসা জাহাজগুলো সিঙ্গাপুর, কলম্বো থেকে বাঙ্কার (জ্বালানি) নিয়ে আসে। বাংলাদেশ বিদেশি জাহাজে বাঙ্কার সরবরাহ করে বিপুল রাজস্ব আয় করতে পারে। যেমনটি করছে সিঙ্গাপুর। কিন্তু এদেশে বাঙ্কার সেক্টরটি অবহেলিত হয়ে আছে। বেসরকারি পর্যায়ে কাস্টমস নজরদারিতে সমুদ্র উপকুলে ডিপো স্থাপন করেও রাজস্ব আয়ের একটি বড় খাত তৈরি করা যায়। বিদেশ থেকে আমদানী পণ্য নিয়ে কোন জাহাজ এদেশে আসার আগে বাংলাদেশে জ্বালানী পাওয়া যাবে কী না তা যাচাই করে।

বক্তারা বলেন, সমুদ্র সম্পদ আহরণের জন্য পৃথক ‘সমুদ্র সম্পদ মন্ত্রণালয়’ গঠন করা জরুরি। এর মাধ্যমে যথাযথভাবে সমুদ্র সম্পদ আহরণ, দূষণমুক্ত রেখে সমুদ্রের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হবে। অবসান হবে মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রাণালয়ে চিঠি চালাচালি ও রশি টানাটানি।

বঙ্গবন্ধু বে অব বেঙ্গল ফেস্টিভাল-২০২২

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে কক্সবাজারে ‘বঙ্গবন্ধু বে অব বেঙ্গল ফেস্টিভাল-২০২২’ এর আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সাজ্জাদুল হাসান বঙ্গবন্ধু বে অব বেঙ্গল ফেস্টিভাল-২০২২’ এর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

এসময় কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচ পয়েন্টে ভলিবল, কলাতলী বিচ পয়েন্টে সার্ফিং, লাবনী বিচ পয়েন্টে সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়। পরে লাবনী বিচ পয়েন্টে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বে অব বেঙ্গল ফেস্টিভাল-২০২২-এর সকল কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

বঙ্গবন্ধু বে অব বেঙ্গল ফেস্টিভাল-২০২২
বঙ্গবন্ধু বে অব বেঙ্গল ফেস্টিভাল-২০২২

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অব.), বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আলী কদর, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন সহ আরও অনেকে।

বিশ্ব সমুদ্র দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো ইউএনডিপি, শেল মেরিন লুব্রিকেন্ট, সিকিউরেক্স ও একেকে।

বিএনএ/ এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ