28 C
আবহাওয়া
৪:৫৫ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পিকনিক স্পট দখলের চেষ্টা মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল

পিকনিক স্পট দখলের চেষ্টা মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল

পিকনিক স্পট দখলের চেষ্টা মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল

বিএনএ, ধামরাই : ঢাকার ধামরাইয়ে জাল দলিল সৃজনের মাধ্যমে মহিষাশী মোহাম্মদীয়া গার্ডেন ও পিকনিক স্পট দখলের চেষ্টা মামলায় অবশেষে বিজ্ঞ আদালতে  চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। সোমবার সকালে  ঢাকা জেলা  উত্তর ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ আশরাফুল আলম (বিপিনং-৮৫১৩১৪৮৮৯৩) ঢাকাস্থ ধামরাই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ প্রতিবেদনটি দাখিল করেছেন।

মামলার চুড়ান্ত এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার তাজমহল রোডের সি-ব্লকের ৬/২৬ নম্বরের বাড়ীর মালিক শেখ বুলবুল আহমেদ পৈত্রিক ওয়ারিশান ও ক্রয় সূত্রে  ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার মহিষাশী এলাকাস্থ মোহাম্মদীয় গার্ডেন ও পিকনিক স্পটের মোট সম্পত্তির তিনভাগের দুইভাগ সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করেন।

এরপর মোহাম্মদী গার্ডেন ও পিকনিক স্পটের অপর ১(এক) অংশের মালিক বাদীর আপন সহোদর বড়ভাই শেখ আব্দুস সালাম ২০১৮সালের ২৯জানুয়ারি বাদী শেখ বুলবুল আহমেদের স্বাক্ষর জাল করে একটি লিজ দলিল সৃজন করে। পরে ২০২১সালের ২০জানুয়ারি মোহাম্মদীয়া গার্ডেন ও পিকনিক স্পটের পুরো সম্পত্তি গ্রাস ও দখলের জন্য আদালত থেকে ১৪৫ ধারামতে একটি নোটিশ জারি করা হয় বাদির অনুকুলে। নোটিশ পেয়ে  বিষয়টি জানতে পেরে বাদী শেখ বুল বুল আহমেদ ২০২১সালের  ১০ ফেব্রুয়ারি এব্যাপারে ঢাকাস্থ ধামরাই বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেন ১নং বিবাদী শেখ আব্দুস সালাম, কামাল আহম্মেদ ও মোহাম্মদ ছানোয়ারুল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। সিআর মামলা নং ৭৫/২১।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত করে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দায়িত্ব অর্পণ করে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ আশরাফুল আলমের ওপর। তিনি দীর্ঘ্য সময় বিশদভাবে তদন্ত পূর্বক সোমবার সকালে এ প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করেছেন।

ভোক্তভোগী শেখ বুলবুল আহমেদ বলেন, ১৯৯৮সালে আমার মরহুম পিতার জীবদ্দশায় তিনি ১একর ১৯শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ী নির্মাণ করেন। পাশেই আরও কিছু জমি ক্রয় করেন ধান চাষের জন্য। ২০০৩সালে শেখ কামরুল হাসান বকুল নামে আমার এক ভাই ও ২০০৮সালে আমার পিতা আব্দসু সামাদ মারা গেলে আমরা তিনভাই আমি মেখ বুলবুল আহমেদ, শেখ আব্দুস সামাদ ও শেখ আব্দুস সালাম উক্ত সম্পত্তির দেখাশুনা ও ভোগদখলে রয়েছি।

পরবর্তীতে আমি নিজ নামে আরও জমি ক্রয় করে প্রায় ৬একর জমির মালিকানা স্বত্ব অর্জন করি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায়  কোটি টাকা হবে। এরপর আমার সাক্ষর জাল করে ওই তিন নং বিবাদি গোপনে ২০১৮সালের ২৯জানুয়ারির তারিখ ও সময়ে  একটি লিজ দলিল তৈরি করে। এরপর  সমুদয় সম্পত্তি গ্রাস ও জবরদখল করার নিমিত্তে ১নং বিবাদি আব্দুস সালাম আদালতে আমার বিরুদ্ধে উল্টো ১৪৫ধারামতে একটি মামলা দায়ের করে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে বিজ্ঞ আদালতের সরণাপন্ন হই এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলাটি দায়ের করি।

এব্যাপারে বিবাদি শেখ আব্দুস সালাম বলেন, এব্যাপারে আদালতে আইনি লড়াই চলছে। আদালতেই এর ফায়সালা হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকের কোন দরকার নেই। অতএব আমি এব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথাই বলবো না।

এব্যাপারে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ আমরাফুল আলম বলেন, মামলাটি ডকুমেন্টারি। তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণাদির বিত্তিতেই এর প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে। যা আয়নার মত স্বচ্ছ ও পরিষ্কার। ১নং বিবাদি শেখ  আব্দসু সালাম বাদি শেখ বুলবুলের স্বাক্ষর জাল করে সম্পত্তি গ্রাস করার চেষ্টা করেছিল।

বিএনএ/ ইমরান খান/ এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ