বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূল বঙ্গোপসাগরে লবণবাহী ১০টির বেশি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক।
নৌ পুলিশ বলছে, বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে সাগরে বাতাস বেশি ছিল। ওই সময় ট্রলারগুলো ডুবে গেছে। কর্ণফুলীতে প্রবেশের আগে আনোয়ারা গহিরা এলাকায় এসব ট্রলার ডুবে যায়। তবে কোনো নাবিক হতাহত হননি। কক্সবাজার এলাকা থেকে লবণ বোঝাই ট্রলারগুলো আসছিল চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট এলাকায়। সেখানে লবণ খালাস করার কথা ছিল। কিন্তু আসার পথেই ডুবে যায় ট্রলারগুলো।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের তাণ্ডবে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০টির বেশি ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারগুলোর দাম প্রায় দুই কোটি টাকা। এছাড়া সেখানে থাকা লবণের দাম হবে আরও এক কোটি টাকা।
এ ঘটনায় যারা উদ্ধার হলেন তারা হলেন বাঁশখালী উপজেলার আল্লাহর দান ট্র্রলারের মো. জিয়া মাঝি, মো. আলী, মো মানিক, মো. সোহেল, মো. মনচুর, জাবেদ আহমদ, কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী ট্রলারের মাঝি মো. মানিক, নুরুল আমিন, মো. আনিস, বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব। নিখোঁজ মাঝি মাল্লাদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশন।
বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি ফারুক জানান, কুতুবদিয়া থেকে আসার সময় সকালে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া শুরু হলে ট্রলার উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। আমাদের সঙ্গে ১৫ থেকে ২০টির মতো ট্রলার ডুবে গেছে। প্রতিটি ট্রলারে ৫ থেকে ৭ জন মাঝি মাল্লা ছিল।
গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছি। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ/ বিএম