বিএনএ, ফেনী:ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাম হাত হারানো শিশু ও তার পরিবারকে চার কোটি ২২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।সোমবার (৮ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মিয়া।
ওই শিশুর বাবা রেজাউল করিম সরকার সোহাগের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রোববার (৭ মে) এ রুল জারি করেন।
একই সঙ্গে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ও মহাব্যবস্থাপক, ছাগলনাইয়া জোনের উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক শেখ আজিজুল হক নিশানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ মটুয়ার শেখ আবুল হোসেন মাস্টারের ছেলে শেখ আজিজুল হক নিশানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন রেজাউল করিম সোহাগ সরকার। সে ছাগলনাইয়া পৌরসভার বাঁশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আইনজীবী মনিরুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৩১ জুলাই বিকেল ৪টায় ওই ভাড়া বাসায় রেজাউল করিম সোহাগ সরকারের ১১ বছরের ছেলে রাফি বারান্দায় খেলা করছিল। এ অবস্থায় তার হাতে থাকা ‘দৈর্ঘ্য মাপার কাজে ব্যবহৃত একটি স্টিলের টেপ’ বারান্দা ঘেঁষা কাভারবিহীন বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে। এতে বৈদ্যুতিক শকে রাফির বাম হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে যায়।
এরপর তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে কেটে ফেলা হয় তার বাম হাতের কবজি। এখন তার কৃত্রিম হাত সংযোজনে ৪০ লাখ টাকা লাগবে। এছাড়া এ পর্যন্ত ২২ লাখ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে। বিকলাঙ্গ হওয়ায় ভবিষ্যৎ ক্ষতিপূরণ তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা। মোট চার কোটি ২২ লাখ টাকা ক্ষতি দেখিয়েছেন শিশুটির বাবা।
বিষয়টি ছাগলনাইয়া জোনের উপ-মহাব্যবস্থাপক বরাবর জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আইন অনুসারে পল্লী বিদ্যুৎ এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারতো বলে জানান আইনজীবী।
বিএনএ/ এবিএম নিজাম উদ্দিন, ওজি