বিএনএ, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ভালুকায় মো. শিপন (৭) নামে এক শিশুকে অপহরণের দুই দিন পর উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। এই ঘটনায় বাবু মোল্লা (২৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাবু মোল্লা হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার(৮ মে) বিকালে জেলা গোয়েন্দা শাখার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত বাবু মোল্লা নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার মোল্লাপাড়া এলাকার মোস্তফা মোল্লার ছেলে। সে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় বসবাস করতেন।অপহৃত মো. শিপন জেলার ভালুকা উপজেলার তামাট গ্রামের রুবেল খার ছেলে।
এর আগে শনিবার (৭ মে) দিবাগত মধ্যরাতে মহানগরীর শম্ভুগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার হেফাজতে থাকা শিপন মিয়া উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি রুবেল খার শ্যালক মিলন মিয়ার সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় বাবু মোল্লার। এই পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন সময় মিলন মিয়ার সাথে বাবু মোল্লা মোবাইলে কথা বলত। এভাবে সম্পর্কের জেরে বাবু মোল্লা তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে।
বেড়াতে এসে গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকালে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাটাজোড় বাজারে যায়। সেখানে গিয়ে মিলন মিয়াকে কলা আনার কথা বলে কৌশলে শিপনকে অপরহণ করে নিয়ে যায় বাবু মোল্লা। পরে অনেক খোজাখুঁজি করেও শিপনকে পাওয়া যায়নি।
এমতাবস্থায় ওই দিন রাত ৯ টার দিকে শিপন মিয়ার মায়ের কাছে ইমুতে ফোন করে এক লক্ষ টাকা দাবি করে বাবু মোল্লা। টাকা বিকাশে দিতে বলেন। টাকা না দিলে শিপনকে হত্যা করে মরদেহ লুকিয়ে ফেলার হুমকি দেয় বাবু মোল্লা।
এই ঘটনার পর শিপনের বাবা রুবেল খা গত শনিবার (৭ মে) ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখার হাতে আসলে অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই বাবু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাবু মোল্লা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের কথা স্বীকার করেছে। মুক্তিপনের টাকা চাওয়ায় ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। বাবু মোল্লা আগে থেকে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনএ/ হামিমুর রহমান, ওজি