বিএনএ, আনোয়ারা: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় জেসমিন আক্তার (২৭) নামের এক পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক ধারণায় আত্মহত্যা মনে হলেও এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এই নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) শবে বরাতের রাতে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে ভাড়া বাসা থাকা অবস্থায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্বামী মহিউদ্দিন পলাতক রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
পাশের ভাড়াটিয়ারা মনে করেন, মেয়েটিকে মেরে পরে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। না হয় বাথরুমের ভিতর লোহার এ্যাঙ্গেল এর সাথে গলায় গামছা দিয়া ফাঁস লাগাইয়া যদি আত্মহত্যা করতো তাহলে বাথরুমের ভিতরের দরজা বন্ধ থাকতো। এছাড়াও ঘটনার পর স্বামী মহিউদ্দীনও পলাতক রয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, জেসমিন আক্তার (২৭) বাঁশখালী উপজেলার প্রেমাসিয়া (খানখানাবাদ) এলাকার মঈন উদ্দিনের মেয়ে। সে আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে অবস্থিত কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড)-এ পোশাক শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, গতকাল রাতে বৈরাগ ইউনিয়নে ভাড়া বাসার বাথরুমের ভিতর লোহার এ্যাঙ্গেল এর সাথে গলায় গামছা দিয়া ফাঁস দিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ধারণায় আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। তারপরেও আমরা মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। প্রাথমিকভাবে জিডি হয়েছে। ময়না তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনএ/নাবিদ, এমএফ