বিএনএ, মিরসরাই(চট্টগ্রাম) : মিথ্যা অপবাদ ও অপমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী প্রভাতী ট্রেনের সামনে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন এক মহিলা। এ সময় তার কোলে থাকা দেড় বছরের শিশুটি বেঁচে যায়। বুধবার(৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট ও ধুমঘাটের মধ্যবর্তীস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে নিহতের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তার ৫ মেয়ে, বাড়িতে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মেয়েরা বাপের বাড়ি এসেছে । সোমবার অনুষ্ঠান শেষে সবাই শুয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে নিহত ৪র্থ মেয়ে নাজমা বেগমের কক্ষে প্রবেশ করে বড় বোন রুজিনার স্বামী অটোচালক মানিক। বিষয়টি নাজমা বেগম তার স্বামী কাঠ মিস্ত্রি অপু মিয়াকে জানায়। মানিক প্রথম দিন গা ঢাকা দেয়। পরের দিন বিষয়টি নিয়ে দুই ভায়রার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে । ভায়েরা মানিকের মারধরে ক্ষিপ্ত হয়ে অপু মিয়া স্ত্রীকে তালাক দেয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে দুই বোনের মধ্যেও ঝগড়া হয়। আজ মেয়েটা আত্মহত্যা করে চলে গেল । দেড় বছরের নাতিটা নিয়ে আমি এখন কোথায় যাবো!
অভিযুক্ত মানিক শ্লীলতাহানির ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, নিহত নাজমা বেগম অসুস্থ ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। এতটুকু বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
রেলওয়ে পুলিশের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই অংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই খোরশেদ আলম জানান, আহত শিশু কে স্থানীয় আশরাফুল আলম নামে এক ব্যক্তি উদ্ধার করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিজের তত্ত্বাবধানে নেন তিনি । পরবর্তীতে তার সহায়তায় শিশুটিকে তার নানার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মহিলার স্বামী যদি মামলা দায়ের করে সহযোগিতা করা হবে।
বিএনএ/আশরাফ/ ওজি