বিএনএ, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো “টেকসই আগামীর জন্য জেন্ডার সমতাই অগ্রগণ্য”।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে ছাত্র-উপদেষ্টা অফিসের উদ্যোগে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি ডায়না চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে এসে সমবেত হয়।
এ সময় র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শাহিদা আক্তার আশা’সহ বিভাগের ছাত্রী ও শিক্ষিকাবৃন্দ।
র্যালি শেষে ল’ এ্যন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শাহিদা আক্তারের সঞ্চালনায় মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া বলেন, তোমরা আমাকে একটি শিক্ষিত মা দেও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব। দার্শনিকের কথার এই সূত্র ধরে তিনি আরও বলেন, যে জাতি তাঁর নারী সমাজ যত বেশি শিক্ষিত ও ক্ষমতায়ন করতে পেরেছে সেই দেশ তত উন্নত হয়েছে। বংলাদেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা অধিষ্ঠিত। তাঁরা সর্বোচ্চ ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতেও রয়েছে। সেখানে নারীরা প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন নারীরাও পুরুষের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে সোনার বাংলা গঠনে ভুমিকা রেখে যাবে।
আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, নারী, পুরুষের থেকে বড় পরিচয় আগে আমি একজন মানুষ। এজন্য আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। সমাজে আজ নারী ও পুরুষ কাধে কাধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে সমান ভুমিকা রেখে চলেছে। দেশের সব জায়গায় নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে নারীরা পুরুষের থেকে এগিয়ে আছে।
বিএনএ/তারিক, এমএফ