বিএনএ, ঢাকা: পাঁচটি খাতে বিদেশীদের কাজ করতে সনদ বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি আরব। এই খাতগুলোতে সৌদি আরবের সহায়তায় বাংলাদেশ থেকে সনদ পেতে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং সৌদি সরকারি সংস্থা তাকানলের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি দূতাবাসে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচি (এসভিপি) চুক্তি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলাম এসব কথা জানান।
যে পাঁচটি খাতে কাজ করতে সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেগুলো হলো- প্লাম্বার, ওয়েল্ডিং, অটোমোবিল, ইলেকট্র্রিশিয়ান এবং এসি মেকানিক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সনদ পাওয়ার জন্য আগ্রহী কর্মীদের ওই খাতগুলোর ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। বাংলাদেশের দু’টি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে। এ জন্য শ্রমিকদের কোনো অর্থ দিতে হবে না। একজন বাংলাদেশী যতবার ইচ্ছা ততবার পরীক্ষা দিতে পারবে। সনদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য নতুন একটি দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে। বিশ্বের অনেক দেশে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, অদক্ষ শ্রমিকরা এমনিতেই কম বেতন পান। যে পাঁচটি খাতে সনদ নিয়ে কর্মীরা যাবেন, তারা দক্ষ কর্মী। তাদের বেতন অবশ্যই অদক্ষদের চেয়ে অনেক বেশি হবে। নতুন এই ব্যবস্থা অন্যান্য শ্রমিকদের সৌদি আরবে যেতে কোনো বাধা হবে না।
সনদ পেতে কর্মীদের যে পরীক্ষা নেয়া হবে, তাতে কী কী বিষয় থাকতে পারে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, আরবি ভাষা ও কিছু রীতিনীতি থাকবে। তারা মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করতে পারে কিনা, সেগুলো দেখা হবে।
বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, কোনো শ্রমিক সৌদি আরবে যেতে চাইলে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচিতে (এসভিপি) উত্তীর্ণ হতে হবে। অদক্ষ শ্রমিকের তকমা আর থাকবে না। আগে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, তারপর তারা বিদেশ যেতে পারবে।
তিনি বলেন, শুরুতে এক হাজার কর্মীর জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হতে নেয়া হয়েছে। শুধু টাকা দিলেই বিদেশে যাওয়া যাবে না, পদ্ধতিগতভাবে যেতে হবে। এ পদ্ধতিতে কর্মীরা চাকরির নিশ্চয়তা ও সম্মানজনক বেতন পাবেন। এতে অভিবাসন খাতে শৃঙ্খলা আসবে।
বিএনএ/বিএম,এমএফ