বিএনএ, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: স্থায়ী শিক্ষক এবং বিভাগের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা
৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এ আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগটি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে যাত্রা শুরু করলেও এখন পর্যন্ত বিভাগটিতে কোনো স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। এমনকি নেই পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুবিধাও।
আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুব বলেন, ৫ বছরের কোর্সে বর্তমানে ৭০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছেন। প্রায় তিন বছর পার হলেও এই বিভাগে অস্থায়ী শিক্ষক মাত্র একজন, ক্লাসরুম ও ল্যাব নেই, এমনকি পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস নেই। এছাড়া, আমাদের শিক্ষা পরবর্তী আর্কিটেক্ট হিসাবে পরিচয়ের জন্যে দরকার ইন্সটিটিউট অফ আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (IAB) এর এক্রিডেশন। IAB এর মানদন্ড অনুযায়ী একটি ডিজাইন স্টুডিও তে ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য দরকার ২ জন শিক্ষক সাথে স্টুডিও তে প্রয়োজন ড্রাফটিং টেবিল সহ পর্যাপ্ত জায়গা। কিন্তু এর প্রায় কিছুই আমাদের নেই। সবমিলিয়ে আমাদের ভবিষ্যত এখন হুমকির সম্মুখীন।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, সেমিস্টারে সর্বমোট ক্রেডিটের ৫০-৬০ শতাংশ ক্রেডিট ডিজাইন ক্লাসে এবং সকাল ৯-৫ টা ডিজাইন ক্লাস করে বাকি সময় ডিজাইন স্টুডিওতে অবস্থান করে ডিজাইন এবং মডেলের কাজ করতে হয়। কিন্তু ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ডিজাইন স্টুডিও এবং ক্লাস রুমের ব্যাবস্থা নেই। এমনকি বর্তমানে শিক্ষক সংকট এবং ইকুইপমেন্ট সংকটের কারণে ডিজাইন কোর্সের পরীক্ষাও স্থগিত রয়েছে।
প্রশাসনের গড়িমসি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকেই প্রশাসনকে আমাদের বিভাগে দ্রুত স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের জন্যে অবগত করেছিলাম। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর এবং ২০২১ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারিতে দুই ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীরা করোনা মহামারীর মাঝেও গোপালগঞ্জ এসে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলাম কিন্তু প্রতিবার আমাদের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবার আমাদের গেস্ট টিচার দিয়ে ক্লাস শুরু করে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর স্থায়ী শিক্ষকের নিয়োগের দাবি জানালে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু এরপর ২ মাস পার হলেও এখনো শিক্ষক নিয়োগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কোন অগ্রগতি নেই৷ ”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: মোরাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমি কথা বলতে পারবো না, আমাকে উপাচার্য স্যার ডেকেছেন।”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার পক্ষে এখন কথা বলা সম্ভব নয়।
বিএনএ/ মুহা. ফাহীসুল হক ফয়সাল/এইচ.এম।