বিএনএ, ঢাকা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদী দখলকারীদের নামের তালিকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে তালিকা দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে অবৈধ দখল, দূষণরোধ এবং সীমানা নির্ধারণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালত আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানি সচিব, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়নের বোর্ডের মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেন।
আদালতে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কিউ এম সোহেল রানা। তাকে সহযোগিতা করেন মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
‘ডুবোচর আবর্জনায় জীর্নশীর্ণ তিতাস’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ক সংবাদ প্রকাশ হয়। পত্রিকার ওইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৩০ নভেম্বর রিট দায়ের করা হয়।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবেষ্টিত হয়ে আছে তিতাস নদী। এ নদীকে কেন্দ্র করে শহরের অন্যতম বৃহৎ হাট আনন্দবাজার ও জগৎবাজার গড়ে উঠেছিল। এ নদীর ডুবোচর জেগে ওঠা, দখল আর আবর্জনায় নাব্যতা হারিয়ে তিতাস এখন জীর্ণশীর্ণ খালে পরিণত হয়েছে। পলি জমে গত দুই দশকে তিতাসের তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে।
বিএনএ নিউজ/শহীদুল/এইচ.এম।