21 C
আবহাওয়া
৩:৩২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » অকৃতকার্য হয়েও রাবিতে ভর্তির সুযোগ

অকৃতকার্য হয়েও রাবিতে ভর্তির সুযোগ


বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২১-২২ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ৬০ জন সন্তানকে ওয়ার্ড কোটার অধীনে বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রবিবার (৬ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা উপ-কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে।

তিনি বলেন, ‘নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানরা ওয়ার্ড কোটায় ভর্তি হতে পারবেন।’ মোট আসনের ৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত বলেও জানান তিনি।

ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর পেতে ব্যর্থ হলেও, বিশেষ এই কোটার অধীনে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছে তারা। পূর্ব নির্ধারিত পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যান্য কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলেও, ওয়ার্ড কোটার তালিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ওয়ার্ড কোটায় বেশ কিছু আসন ফাঁকা থাকায়, শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভর্তি উপ-কমিটিকে পাশ নম্বর কমানোর জন্য চাপ দিতে থাকে। গত ২৪ অক্টোবর, ভর্তি উপকমিটির এক সভায় এই লক্ষ্যে একটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়। যদিও কমিটির বেশিরভাগ সদস্য প্রস্তাবটিতে অসম্মতি জানান।

এদিকে বিশেষ বিবেচনায় অনুত্তীর্ণ এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিক হাসান বলেন, ‘রাবিতে ইতিপূর্বেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশের অন্যতম প্রাচীন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ না হয়েও ভর্তি হওয়া যাচ্ছে—এটি আমাদের ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।’

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘পোষ্য কোটার নামে ভর্তি পরিক্ষায় ফেল করা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অযোগ্য সন্তানদের ভর্তির সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে রাবির যে সুনাম ও ঐতিহ্য ছিল সেটা ধ্বংসের দিকে আগাচ্ছে। প্রশাসন এটা বন্ধ না করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে মর্মাহত। যেখানে পোষ্য কোটার প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে; সেখানে পাশ নম্বর কমিয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদান করা কোনোভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়।’

উল্লেখ্য, রাবিতে ভর্তির ক্ষেত্রে গত শিক্ষাবর্ষেও অকৃতকার্য হয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছিলেন ৭১ জন শিক্ষার্থী। এই বছর ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগে, পোষ্য কোটায় পাস নম্বর প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছিলেন, “পাস মার্ক না পেলে ভর্তির কোনো সুযোগ নেই।” কিন্তু উপাচার্যের সেই আশ্বাসের পরও পোষ্য কোটায় পাস নম্বর কমিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তার সন্তানদের ভর্তির সুযোগ দিলো রাবি প্রশাসন।

বিএনএ/সাকিব/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ