বিএনএ, নেত্রকোণা : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে রাস্তায় ট্রলি রাখা নিয়ে দ্বন্ধের জেরে কুড়ালের কোপে আহত অটোরিকশা চালক মো. সেলিম মিয়া (৬৫) মারা গেছেন।
মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কানাই লাল চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে মারা যান সেলিম মিয়া। সেলিম মিয়া উপজেলার মাঘান-দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল অটোরিকশা নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় যান সেলিম। এ সময় ওই রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রাইস উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির একটি ইট বোঝাই ট্রলি দাঁড় করানো অবস্থায় ছিল। রাস্তা বন্ধ দেখে চিল্লাচিল্লি করে ট্রলির মালিকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেলিম। এতে দু’জনের মাঝে তর্ক বাঁধে। এই পরিস্থিতিতে রাইস উদ্দিনের শ্যালক নূর আলম কুড়াল দিয়ে সেলিমের ঘাড়ে কোপ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিমকে উদ্ধার করে তাকে প্রথমে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে এক মাস সাত দিন চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। তবে ঘাড়ের ক্ষত শুকালেও বিছানা থেকে তিনি উঠে দাঁড়াতে পারতেন না। এমনকি সোজা হয়ে বা উপুড় হয়েও শুতে পারতেন না। ডান অথবা বাম কাত হয়ে শুয়ে থাকতেন সব সময়। এভাবে দীর্ঘদিন শুয়ে থাকায় শরীরের ডান ও বাম পাশে পচন ধরে গভীর ক্ষতের সৃষ্ঠি হয়। বুধবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
এদিকে ৪ এপ্রিলের ঘটনার পরপরই সেলিমের ছেলে হাবিল মিয়া ওরফে হাবীব বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। এতে নূর আলম ও রাইস উদ্দিনসহ চারজনকে আসামী করা হয়। নূর আলম পলাতক ও অন্যরা জামিনে রয়েছেন।
এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর আগের করা হত্যা চেষ্টা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হবে। নূর আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বিএনএ, ফেরদৌস আহমাদ বাবুল,ওজি