বিএনএ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা টেকানোর দেনদরবার করতে ভারতে গেছেন। এই দেনদরবার করতে গিয়ে দেশের স্বার্বভৌমত্ব কতটুকু বিক্রি করছেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রিজভী আহমেদ।
বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা কতটুকু স্বার্বভৌমত্ব বিক্রি করে নিজের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। তা এখন দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন দেশের জনগণ। রিজভী বলেন, আমরা এমন একটি সময় পার করছি যখন চারদিকে অন্ধকার। কারো কোনো কথা বলার অধিকার নেই। দেশে যে অন্যায় হচ্ছে, সেগুলোর প্রতিবাদ যারা করছে, তাদের ওপর নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।
বিএনপি নেতা বলেন, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে যে কর্মসূচি চলছে, সেগুলোতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে প্রতিমুহূর্তে। তাদের আক্রমণে কেউ কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করছেন, কেউ চোখ হারাচ্ছেন। তিনজনের জীবনও চলে গেছে।
রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম প্রতি মূহূর্তে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গতকালও ডিমের দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। অভিযোগ করেন, দেশের মানুষকে ক্ষুধায় রেখে, অনাহারে রেখে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলে রেখে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ভারত গিয়ে তিস্তা চুক্তি করতে পারেননি। আমাদের যে ন্যায্য পাওনা, সেগুলোর একটিও আদায় করতে পারেননি। জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন, অথচ আমাদের ন্যায্য হিস্যা একবারও আদায় করার কথা বলেন না।
মিয়ানমার ইস্যুতে রিজভী বলেন, সরকারের গণভিত্তি নেই বলেই তাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত দুর্বল এবং নতজানু। দেশের এমন পরিস্থিতিতে শক্ত ভাষায় প্রতিবাদ করা দরকার, সেটাও সরকার দিতে পারছে না। কারণ, গণভিত্তি নয় অন্যান্য দেশের সমর্থনে তাদের টিকে থাকতে হচ্ছে। এ কারণে তাদের নতজানু হয়ে থাকতে হচ্ছে।
এ সময় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার ও সদস্য সচিব নাসিমা আক্তার কেয়াসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএ/এ আর