বিএনএ,ঢাকা : রাজধানীতে ১ লাখ ৯০ হাজার ইয়াবাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-ম্যানেজার মো. আমিনুল ইসলাম, ট্রাক চালক মো. নুরুল ইসলাম ও হেলপার মো. হেদায়েত উল্লাহকে। শনিবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, এ অভিযানে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৫৪২৮) জব্দ করা হয়েছে।এ সময় ট্রাকের তেলের ট্যাঙ্কে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১ লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এবং চারটি মোবাইল ও মাদক বিক্রির নগদ ৩১ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।তিনি বলেন, মাদক কারবারি এ চক্রটি ট্রাকে ঢাকায় ইয়াবা এনে এসব অপকর্ম করত। এ মাদক বহনের জন্য চালক বেশ কিছু টাকা পেত। গ্রেপ্তাকৃতদের কাজ হলো কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া। এ জন্য প্রতি চালানে ট্রাকচালক পেতেন ৫০ হাজার টাকা। আর ২০ হাজার টাকা যেত হেলপারের হাতে। এই চালান দেখাশুনার জন্য আবার থাকতো একজন ম্যানেজার। এ জন্য তিনি পেতেন ৩০-৫০ হাজার টাকা।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, সাধারণত টেকনাফ থেকে ঢাকায় বৈধ মালামাল নিয়ে কোনো ট্রাক এলে চালক পান ৫-৮ হাজার টাকা এবং হেলপার পান ২-৩ হাজার টাকা। তাই বেশি লাভের আশায় অসাধু ট্রাকচালক ও হেলপাররা মালামালের সঙ্গে ইয়াবা নিয়ে আসতেন।
তিনি বলেন, চক্রটি টেকনাফ থেকে ইয়াবা ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিত। মূলত ট্রাকের মালিক সোহেলের নেতৃত্বে গত ৪-৫ বছর ধরে এই চক্রটি পরিবহন ব্যবসার আড়ালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আসছে। চক্রটি পণ্যবাহী পরিবহনের চালক ও সহকারীকে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ইয়াবা পরিবহন করত। এই ইয়াবা পাচার চক্রের সদস্য সংখ্যা ৭-৮ জন। তদেরকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।
র্যাব জানায়, জব্দ করা ইয়াবার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
বিএনএনিউজ২৪.কম/আজিজুল/এনএএম