বিএনএ ঢাকা: সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি কাণ্ডে এবার নাম জড়িয়েছেন গোলাম সাকলায়েন শিথিল নামে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি’র গুলশান বিভাগের এডিসি হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি ঢাকার অদূরে তুরাগতীরে বহুল আলোচিত বোট ক্লাব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন সাকলায়েন। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চলার সময় নায়িকা পরীমণির সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ রয়েছে।
র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তার সঙ্গে পরীণির ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসলো। তাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে।
পরীমণি-সাকলায়েনকে নিয়ে ইতোমধ্যে একটি সিসিটিভি ফুটেজও ফাঁস হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, রাজাবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের গেটের সামনে ১ আগস্ট সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে একটি সাদা গাড়ি এসে থামে। লাল রংয়ের টি-শার্ট পরিহিত একজন প্রথমে গাড়ি থেকে নামেন। এরপর সাদা রংয়ের জামা পরে কোলে একটি কুকুরসহ নামেন আলোচিত নায়িকা পরীমণি। রিসিপশনে থাকা সদস্যদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে লিফটে প্রবেশ করেন দু’জন। এরপর গাড়ি থেকে একটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে যাওয়া হয় । পরে রাত দেড়টার দিকে ওই ভবনের সামনে পরীমণির গাড়ি আবারও আসে। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় পরীমণির পরনে কালো রংয়ের পোশাক ছিল।
সংবাদ মাধ্যমকে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন পরীমণির গাড়ি চালক নাজির হোসেন। তিনি জানান, পরীমণির সঙ্গে ডিবি কর্মকর্তা সাকলায়েন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে ছিল।এর আগেও হাতিরঝিল এলাকায় একই গাড়িতে তারা দু’জন ঘোরাঘুরি করে সময় কাটিয়েছেন।
এদিকে, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর প্রাথমিক তদন্তে সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমণির সরকারি ফ্ল্যাটে প্রবেশ এবং দীর্ঘ সময় অবস্থানের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি গোয়েন্দা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।
তবে, ডিবি কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন, বিষয়টি অস্বীকার না করে বলেন, মামলাটির চার্জশিট জমা দেয়ার পর, পরীমণি কেনো যেকোনো কারো সঙ্গে সম্পর্ক চলাফেরার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। কোন কোন মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি