বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক : বাংলাদেশের মত মালয়েশিয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান রয়েছে ‘ন্যাশনাল রিকভারি প্ল্যান’ এর প্রথম ধাপের লকডাউন। পাশাপাশি দেশটিতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষা শতভাগ কার্যকর করতে ১ জুলাই থেকে দেশজুড়ে অভিযানে নেমেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা অন্তত ২১টি সংস্থা। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেসি পাতুহ’।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, কুয়ালালামপুরে পুসাত দামানসারার একটি নির্মাণ সাইটে মঙ্গলবার ২ হাজার ২২৫ জন নির্মাণ শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ৬৩০ জনের মধ্যেই কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়। এছাড়া দেশজুড়ে এখনো ৮৫২টি সক্রিয় ক্লাস্টার রয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চলমান লকডাউনের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) লঙ্ঘনের দায়ে গত মাসের ১ জুন থেকে এখন পর্যন্ত দেশে পরিচালিত ৮১০টি নির্মাণ সাইটের মধ্যে ১৮৮টি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে মালয়েশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দেশটির নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন বোর্ড (সিআইডিবি) বলেছে, সারাওয়াকে ৫৬টি, সেলাঙ্গরে ৪২, মেলাকায় ১৫, সাবাহ ১১, পেনাং ১১, কুয়ালালামপুরে ১১, জোহরে ৯, নেগেরি সেমবিলানে ৮, তেরেঙ্গানু ৬, পাহাং ৬, পেরাকে ৫, কেদাহ ৩, পারলিসে ৩টি এবং কেলান্তানে দুটি নির্মাণ সাইট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একদিনে মৃত্যু ১০৩জন
মঙ্গলবার(৬জুলাই) দুপুর পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মালয়েশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৫৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৯২ হাজার ৬৯৩ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৫ হাজার ৬৭৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৭ লাখ ১৪ হাজার ৮১৫ জন।
বিএনএ বাংলানিউজ,এসজিএন