বিএনএ ডেস্ক : বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাবের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা প্রশ্ন এসেছে। কালো টাকা নিয়ে। আমি শুনি অনেকে বলে কালো টাকা; তাহলে আর কেউ ট্যাক্স দেবে না। ঘটনা কিন্তু তা না। এখন এক কাঠা জমি যার সেই কোটিপতি। কিন্তু সরকারি যে হিসাব সেই হিসাবে কেউ বেচে না একটু। বেশি দামে বেচে। কিন্তু টাকা উদ্ধৃত হয়। এই টাকাটা তারা গুঁজে রাখে। তা গুঁজে যেন না রাখে সামান্য কিছু টাকাটা দিয়ে টাকাগুলো আসল পথে আসুক। সেখানে আমি ঠাট্টা করে বলি যে মাছ ধরতে গেলে তো আধার দিতে হবে, দিতে হয় না? আধার ছাড়া তো মাছ আসবে না৷ সেরকমই একটা ব্যবস্থা।’
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবারের বাজেট অন্তত পরিকল্পিতভাবে দিয়েছি। এই বাজেটে মানুষের মৌলিক অধিকার কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দেশীয় শিল্প, সামাজিক নিরাপত্তা এগুলোকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যা মানুষের জীবনকে উন্নত করার নিশ্চয়তা দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেগুলো মানুষের প্রয়োজন সেখানে কিন্তু ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি। প্রত্যেকটা খাদ্যপণ্য, চিকিৎসার ক্ষেত্রে ক্যান্সার বা ডায়ালাইসিসসহ সমস্ত কিছুর ওপর থেকে ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি। একদিকে স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি উৎপাদন খাদ্য নিরাপত্তা দেশীয় শিল্পকে প্রাধান্য দেওয়া দেশীয় শিল্পের উৎপাদন যেগুলো ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ কাঁচামাল সেগুলোর ওপর আমরা সুরক্ষা দিয়েছি। সেইভাবে এবার আমরা কিন্তু বাজেটটা অন্তত পরিকল্পিতভাবে দিয়েছি।’
বাজেট ঘাটতি প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাজেট ঘাটতি নিয়েও অনেকে কথা বলে। আমি সরকারে আসার পর, এটি ২১তম বাজেট দিলাম। সবসময় আমরা ৫ শতাংশ বাজেট ঘাটতি রাখি। এবারও ৪ দশমিক ৬ শতাংশ রাখা হয়েছে। পৃথিবীর বহু দেশে এমনকি উন্নত দেশেও আছে। আমেরিকায় খবর নেন বাজেট ঘাটতি কত। উন্নত দেশেও এর চেয়ে বেশি বাজেট ঘাটতি থাকে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম। আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বিএনএ/ ওজি