বিএনএ, চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধু টানেলের জমি ক্ষতিপূরণের ২৪ লাখ ১ হাজার ৮ শত ৫৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার সার্ভেয়ারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন আহমদ কবির (৫০) নামে এক সাংবাদিক।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এ মামলা করেন।
মামলায় জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কমল কান্তি দে (৫৫) নামের এক সার্ভেয়ারসহ আনোয়ারা বৈরাগ এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (৬০), নবী হোসেন (৩৫), মো. ফোরকান উর রশিদ (৩৪), উম্মে কাউছার (২৫), মো. সালাউদ্দিন (৩৬), মো. শফি তালুকদার (৩৭) এবং মো. আলমগীরকে (৩৫) আসামী করা হয়েছে। বাদী আহমদ কবির আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকার মৃত দানা মিয়ার পুত্র।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরষ্পরের যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে জমি ক্ষতিপূরণের ২৪ লাখ ১ হাজার ৮ শত ৫৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে নালিশী অভিযোগ (সি.আর-১২৬৫/২৩) (কোতোয়ালী) আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আনোয়ারা থানার বেলচুড়া মৌজায় এসব জমি অবস্থিত।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, বিবাদীরা সরকারি বিভিন্ন অফিসের ও এল.এ অফিসের কর্মকর্তাদের নাম ও সিল ব্যবহার করে জাল দলিল সৃজন করে এল.এ শাখা হতে বাদীসহ বিভিন্ন লোকের জায়গার জন্য সরকারের নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে এবং আত্মসাতকৃত টাকা হারাহারি মতে ভাগ করে ভোগ করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, দাঙ্গাহাঙ্গামা, নারী নির্যাতন ও জাল জালিয়াতির কারণে ১। আনোয়ারা থানার মামলা নং ৯ (১০) ২১, জি.আর- ২০৪/২১, ২। আনোয়ারা থানার মামলা নং ০২ (১০) ২২, জি.আর- ১৭৬/২২, ৩। সি.আর মামলা নং ৩৬৮/২২, ৪। নন-জি.আর মামলা নং- ৫৯১/২২ (কর্ণফুলী), ৫। সি.আর মামলা নং- ২৮০/২২ইং, ৬। আনোয়ারা থানার মামলা নং- ১ (০৬) ২০১৬ ইং, জি.আর- ৭৬/২০১৬ ইং, ৭। নারী ও শিশু মামলা নং- ৩৫৩/২০১৯ ইং, ৮। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রাম এর বিশেষ ডায়েরী নং- ৫০/২০২৩ ইং, ৯। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত, চট্টগ্রাম এর বিশেষ ডায়েরী নং- ২১৯/২০২২ ইং বিচারাধীন আছে।
বাদী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ৩ মে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ঘটনার স্থানে সাক্ষীদের সাক্ষাতে আসামীরা বাদীকে হত্যা করে আলামত গোপন করবে বলে হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে ২নং আসামী বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে এবং ৭নং আসামীসহ অন্যান্য আসামী ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে এল.এ শাখায় কেন অভিযোগ দিয়েছিস’’ বলে ২ ও ৭নং আসামী বাদীকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম ও আঘাত করে থাকে। পরবর্তীতে ৪নং সাক্ষী বাদীকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে বাদী চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সকল আসামী পরামর্শক্রমে প্রতারণার মাধ্যমে জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে তাদের সিন্ডিকেটের সদস্য অন্যান্য আসামীগণসহ অত্র মামলায় ১ ও ২নং তফসিলে বর্ণিত বাদীর জায়গার ক্ষতিপূরণের টাকা এল.এ হতে প্রতারণা প্রবঞ্চনার মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাত করে থাকে।
বিএনএনিউজ/এনামুল হক নাবিদ,বিএম