বিএনএ, ঢাকা : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের ও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সক্ষমতার প্রতীক। আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামের এক উজ্জ্বল মাইলফলক।
সোমবার (৫ জুন) শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ঢাকা থেকে ভাচুয়ালী যুক্ত হয়ে আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে কারণীয় নির্ধারণী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক বলেন, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে শত বাধা উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন সততা, স্বচ্ছতা ও সাহসিকা এবং দেশপ্রেম থাকলে কোন কিছুই অসাধ্য নয়।
উপমন্ত্রী বলেন, পঁচিশে জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের মিলনমেলা এবং উৎসবের জনস্রোত হবে পদ্মার পাড়ে। এই জনস্রোত সফল করা আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সব শ্রেণী পেশার মানুষ হাজির হবেন পদ্মা পাড়ে। কারণ শেষ পর্যন্ত বাঙালির স্বপ্নের মিনার-পদ্মা সেতু চালু হতে যাচ্ছে। এটি নিশ্চয়ই নিছক স্টিলের কোনো কাঠামো নয়, পদ্মা সেতু আমাদের আবেগের নাম। জাতীয় অহংকার ও সাহসের আরেক নাম। সক্ষমতার প্রতীক।
বিপুল আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষ দুই চোখ ভরে আমাদের আত্মশক্তির এ প্রতীকটি দেখছে।
এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুজনই দক্ষিণ বাংলার মানুষ। বাবার মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যাও এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝেন। তাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মাওয়া ফেরিঘাটের কাছেই এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু সেতুটির নির্মাণকাজ থমকে যায় বিএনপির রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার কারণে। অথচ দলটির নেতারা পাগলের প্রলাপ করছেন।
জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে ইকবাল হোসেন অপু এমপি, পারভিন হক সিকদার এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দেসহ জেলা প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।