বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলম দিদারের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাকির হোসেনের জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৬ মে) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাকির হোসেনের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট রফিকুল আলম। তিনি জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধার হাইকোর্টের আদেশের পিটিশনের উপর সিল মেরে দেন সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ দিদারুল আলম। তিনি সরাসরি হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন। সেজন্য তাকে প্রথমে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি তিনি কমপেনসেশন প্রদান না করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক আইনি ব্যবস্থা নিতে কোনো বাঁধা থাকবে না বলে জানান এই আইনজীবী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলম একই এলাকার মোস্তফা হাকিম ভবনের বাসিন্দা।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, হাটহাজারি সহকারি জজ আদালত চট্টগ্রাম অপরজারি ১/১৩ মূলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে দখলপ্রাপ্ত সম্পত্তি গত ২০১৭ সালের শেষের দিকে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ শুরু করলে সাবেক সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে ও ইন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে তার ভাড়াটিয়া ও পরিবারের সদস্যদের শারীরিক আঘাত করে। এসময় পাইলিংয়ের বিপুল পরিমাণ মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মো. জাকির হোসেনকে এবং তাঁর ছেলেকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উচ্ছেদ করায় মানসিক যন্ত্রণায় মুক্তিযোদ্ধা স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছে এবং আমি মুক্তিযোদ্ধা কিনা সন্দেহ প্রকাশ করে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার বিষয়টি উল্লেখ করে পাইলিং কাজের সরঞ্জাম ক্ষতি, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ভাড়াবাসায় বসবাস করা প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।
নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে দিদারুল আলমকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। অন্যথায় আদালত অবমাননাসহ ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য উপযুক্ত আদালতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়। এছাড়া নোটিশ ইস্যুর পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কেউ শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁর জন্য সাবেক সংসদ সদস্য দায়ি থাকবেন বলে উল্লেখ করা হয়।
বিএনএ/এমএফ/ হাসনা