বিএনএ,চট্টগ্রাম: দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষিত চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। গেল কদিনের বজ্রসহ বৃষ্টির পর আজ মঙ্গলবার (৭ মে) নদীর রাউজান অংশের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে নমুনা ডিম পাওয়ার কথা জানান ডিম সংগ্রহকারীরা।
গতকাল ৬ মে থেকে আগামী ১০ মে পর্যন্ত হালদায় কার্পজাতীয় মাছের ডিম ছাড়ার অমাবস্যার জোঁ চলছে। জোঁর প্রথম দিন ডিম সংগ্রহ করা না গেলেও দ্বিতীয় দিন সকালে ডিম সংগ্রহকারী পাকিরাম দাশ, হরিরন্জন দাশ, সন্তোষ দাশ, সুজিত দাশ এবং সুনিলদাশ ১১ টি নৌকার মাধ্যমে ডিম সংগ্রহ করেন। তারা জানান, প্রতিটি নৌকায় গড়ে ২ থেকে ২.৫ বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেছে তারা।
ডিম সংগ্রহকারীরা জানায়, দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ার ফলে সাগর থেকে জোয়ারের পানি হালদায় বেশি মাত্রায় ঢুকে পড়ে, যা নদীতে লবণাক্ততা বাড়িয়ে তোলে। এতে হালদায় মা মাছের ডিম ছাড়া নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে বজ্রসহ বৃষ্টির পর পানির লবণাক্ততা কমায় মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে।
এ বিষয়ে হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে গতকাল ৭ মে সকালে ভাটার শেষের দিকে সময় রাউজান অংশের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে পয়েন্টে কার্পজাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়ে। সোমবার বজ্রপাতসহ ব্যাপক বৃষ্টির প্রভাবে হালদায় পাহাড়ি ঢল নেমে এসে ডিম ছাড়ার অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।তাই আজ মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে হালদায় ডিম ছেড়েছে কার্পজাতীয় মা মাছ। তাই হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা, জাল, বালতিসহ ডিম ধরার প্রয়োজনীয় সরন্জাম নিয়ে পূরোপূরি প্রস্তুত ছিল। সঠিক সময়ে ডিম ছাড়ায় আশা করা যাচ্ছে এবছর ভালো ডিম সংগ্রহ করা যাবে।
বিএনএনিউজ/নাবিদ,ওজি