বিএনএ,চট্টগ্রাম: সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউনের তৃতীয় দিন বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। বন্ধ ছিল দূরপাল্লার বাস চলাচল। গণপরিবহন চলাচল শুরু হওয়ায় দুর্ভোগ কমেছে কর্মজীবী শ্রমজীবীদের। আগের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ৬০ শতাংশ ভাড়াও কার্যকর রয়েছে। তবে কিছু কিছু গণপরিবহনগুলোতে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি না মেনে করেছে যাত্রী পরিবহন। এতে ফের যাত্রী-চালকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল এবং বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর একে খান মোড়, জিইসি মোড়, চকবাজার, মুরাদপুর, লালখানবাজার আগ্রাবাদসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। আগের নিয়মে ৬০ শতাংশ ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও দ্ধিগুণ ভাড়া আদায় করতে দেখা যায় বেশির ভাগ গণপরিবহনে। এতে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে যাত্রী-চালকরা।
নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা রানা দাশ জানান, গত দুইদিন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ভাড়া বেশি হলেও অন্তত কোনো কাজে বাসা থেকে বের হলে গণপরিবহন পাওয়া যাচ্ছে। এটা স্বস্তির বিষয়। পরিবহন বন্ধ থাকলে কিছুই করা যায় না।
আরেক বাসযাত্রী সাগর জানান, বাসে ৫০ ভাগ আসন খালি রাখার নির্দেশনা আছে। কিন্তু অনেকে দাঁড়িয়ে যাত্রী নিচ্ছে। এমনকি দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকেও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে।
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন রুটে ৪৫০ থেকে ৫০০ বাস-মিনিবাস চলাচল করে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বুধবার সকাল থেকে নগরীতে বাস চলাচল করছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত সড়কে প্রায় ৩শ বাস চলাচল করেছে। লকডাউনের কারণে যাত্রী স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশনা চালক ও শ্রমিকদের মেনে চলতে বলেছি। কিন্তু এটা অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত। আমরা চাই যত সিটি তত যাত্রী এই আলোকে সড়কে গণপরিবহনগুলো নামাতে। কিন্তু কিছু কিছু দুষ্ট চালক এ যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে।
বিএনএনিউজ/মনির