বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: কিয়েভ যদি প্রস্তাব মেনে নেয় তাহলে ‘মুহূর্তেই’ অভিযান বন্ধ করবে রাশিয়া। এমন আশ্বাস দিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার চার শর্তের মধ্যে আছে…
১. ইউক্রেনকে অস্ত্রচালনা বন্ধ করতে হবে।
২. ইউক্রেন ন্যাটো বা ইইউতে যোগ দেবে না এবং নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে এমন সাংবিধানিক ঘোষণা দিতে হবে।
৩. ক্রিমিয়ার উপর রাশিয়ার সার্বোভৌমত্বের স্বীকৃতি দিতে হবে।
৪. লুহানস্ক ও দোনেৎস এর স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে হবে।
পেসকভ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ সম্পন্ন করেছে রাশিয়া। মূল বিষয় হচ্ছে ইউক্রেন তার সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করবে। তারা তাদের সামরিক কার্যক্রম থামালে কেউ কোনো গুলি করবে না। পেসকভ জানান, এই শর্তের বিষয়ে কিয়েভও অবগত।
এদিকে রাশিয়ার মানবিক করিডরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রস্তাবিত মানবিক করিডর বেলারুশ ও রাশিয়াকে যুক্ত করায় একে ‘সম্পূর্ণ অনৈতিক’ বলছে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেসচুক।
ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার মানবিক করিডরে মানুষকে স্বাধীনভাবে সরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। এটি এমনভাবে করা হয়েছে যাতে ইউক্রেনের জনগণ বেলারুশ বা রাশিয়ার দিকে যেতে বাধ্য হন। ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার প্রস্তাবিত করিডোর নয় ইউক্রেনীয়দের সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে সোমবার থেকে পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী পশ্চিম ইউক্রেনের শহর লাভিভে যুদ্ধবিরতি চান তারা।
সোমবার সকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর আলোচনা হয়। পরে ইউক্রেনকে মানবিক করিডোরের প্রস্তাব পাঠায় রাশিয়া৷ চারটি শহর কিয়েভ, খারকিভ, মারিউপল ও সুমিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়৷ সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে দ্রুত সরে যেতে বলা হয়৷
তবে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আশঙ্কা, যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই রাশিয়া চূড়ান্ত শক্তি দিয়ে কিয়েভে হামলা করবে৷
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেসচুক বলেন, ‘আমি আশা করব প্রেসিডেরন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ বুঝতে পারবেন যে তার নাম এবং আন্তরিক প্রচেষ্টাকে রাশিয়ান ফেডারেশন অপব্যবহার করছে৷
বিএনএ/ এ আর