বিএনএ, চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে এক সোমবার বিকালে এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদর্শী বিশ্ব নেতা। তার ৭ মার্চ ভাষণটিতে শুধু রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ছিল না, ছিল বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির নির্দেশনাও। যার সুফলেএখন পাচ্ছে জনগণ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে ওঠেছে। বাংলাদেশ হয়ে ওঠেছে বিশ্বের বিস্ময়।
বিএনএ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদার আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মৌলিক ভিত্তি। সে ভাষণ নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে রাতারাতি সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিল।ভাষণে ছিল আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের পূর্ণ দিক-নির্দেশনা। এ ভাষণ প্রকৃত অর্থেই ছিল বাঙালির স্বাধীনতার ঘোষণা।
সোমবার (৭ মার্চ) বিএনএ-র আয়োজনে চট্টগ্রামের বারিক বিল্ডিং মোড়স্থ পোর্টল্যান্ড গ্রুপের হেড অফিসের কনফারেন্স রুমে এক গোল টেবিল বৈঠকে বিএনএ সম্পাদক উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনএ-র নির্বাহী সম্পাদক ইয়াসীন হীরা।
গোল টেবিল বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংষ্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু, নির্বাহী সদস্য মনজুর কাদের মনজু, বিএনএ উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য হাদিদুর রহমান।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন রেজা বলেন, বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা করেছে। হামলার শিকার হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলোনেস্কি দেশের জনগণকে আন্দোলনে আসার আহবান জানান। অথচ বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদর্শী নেতা। তিনি আগে থেকে বুঝতে পেরেছিলেন যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। যেকারণে জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে রেখেছিলেন। তার ১৭ মিনিটের সে ভাষণে সব বলে দিয়েছিলেন। কিভাবে প্রতিরোধ গড়তে হবে তার নির্দেশনা ছিল ওই ভাষণে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি তোমরা রাস্তাঘাট সবকিছু বন্ধ করে দেবে।’তার একথায় মুক্তিকামী বাঙ্গালি পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি খুঁজে পায়। বঙ্গবন্ধু যেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। তার কন্ঠ এমন মোহনীয় ছিল যে তার কথায় জীবন দিতে কুন্ঠাবোধ করে নি বাঙ্গালি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, পৃথিবী যতদিন থাকবে তার ওই ভাষণও ততদিন জাগ্রত থাকবে। তার ১৭ মিনিটের ওই ভাষণের এতটাই শক্তি যে এখনও শুনলে লোম খাড়া হয়ে যায়। দেশ প্রেম জেগে উঠে।
যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে ভাষণটি না দিতেন আজ হয়ত স্বাধীন দেশটি আমরা পেতাম না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ো। উনার এই আহবানে কৃষক, চাকরিজীবি, সেনাসদস্য থেকে শুরু করে সকল পেশার মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশকে স্বাধীন করে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এখনও প্রেরণার উৎস।
বিএনএনিউজ২৪/এইচ.এম,এসজিএন।