বিএনএ, ববি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়েছে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরে ইন্জিনিয়ারিং দপ্তরের সম্মুখে বাকবিতণ্ডায় জড়ান কর্মচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণির (১৭-২০ গ্রেড) কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আরিফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কালুসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কিছু কর্মকচারী এসে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের সভাপতি (১১-১৬গ্রেড) আরিফ হোসেন শুমনের অফিস রুমে এসে কথা কাটাকাটি করে। এর এক পর্যায়ে দুই পক্ষই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম এসে উভয়পক্ষকে শান্ত করেন।
চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারীদের মাধ্যমে জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আজ বেলা ১১টায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (রু. দা) সাথে দেখা করেন। কিন্তু তারা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদেরও অনেককে জানাননি উপাচার্যের সাথে দেখা করার বিষয়টি। না জানানোর কারণে তারা কৈফিয়ত চাইতে আসেন আরিফ হোসেন শুমনের কাছে। আবার, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের এক অংশ বলছেন আজকে তাদেরকে উপাচার্যের সাথে দেখা করতে বাঁধা দেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের একাংশ। সেখানেও তাদেরকে গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। বিগত কমিটির সভাপতি শাহাজাদার নেতৃত্বে তাদেরকে বাঁধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আরিফ হোসেন শুমন বলেন, “আমাদের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল এটা আমরা ঠিক করে নিয়েছি নিজেরা।”
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. আরিফ হোসেন বলেন, আমাদের পরিষদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে রেখে চতুর্থ শ্রেণির কিছু কর্মচারীদের নিয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে উপাচার্যের সাথে দেখা করেছে তারা। বিষয়টি আমাদের কেন জানানো হয়নি, এটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম তাদের কাছে। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
বিএনএনিউজ/ রবিউল/ বিএম/এইচমুন্নী