বিএনএ, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ফরিদ নামের এক ভূমি দস্যুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। জোরপূর্বক জমি দখল, মাদক ব্যবসা, গরু চুরি, কিশোর গ্যাং পালনসহ নানা রকম অপরাধের মূল হোতা এই ভূমি দস্যু ফরিদ।
জানা যায়, আনোয়ারার উপজেলার ৮নং চাতরী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মুন্সী পাড়ার আবুল কালামের ছেলে ফরিদ। নানা অপরাধের সাথে সে যুক্ত থাকলেও ফরিদের ভূমি দস্যুতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ চাতরী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ ভুমিদস্যু ফরিদ জাল দলিল, জাল খতিয়ান করে অসহায় ও হিন্দু পরিবারের জায়গা জমি জবরদখল করে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিনিয়ত শিকার হোন কিশোর গ্যাং কর্তৃক হামলার শিকার।
জানা যায়, ভূমি দস্যু ফরিদের বিরুদ্ধে গরু চুরি, মাদক ও ভূমি দস্যুতার উপজেলা সহকারী (ভূমি), থানা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। এসব অভিযোগে দেখা যায় তার অপরাধের নানাচিত্র।
এসব অভিযোগে জানা যায়, চাতরী এলাকায় রাজনৈতিক কোন পদ পদবি না থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে কিশোর গ্যাং লালন করে আসছে ভূমি দস্যু ফরিদ। যাদের মাধ্যমে মদ বিক্রি, জাল দলিল তৈরী, জাল খতিয়ান তৈরী করে সুযোগ বুঝে অন্যের জমি দখল করে নেওয়া। তার বিরুদ্ধে এসব অপরাধের একাধিক মামলা ও অভিযোগ হলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর আশ্রয়ে সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠছে। এমনকি কোন কোন ভুক্তভোগী অসহায় হলে তাদের বাড়ি ছাড়া করার জন্য প্রতিনিয়ত হামলা-মামলা চালিয়ে হয়রানী করে সে । অনেক অসহায় ভুক্তভোগী এই ফরিদ গং এর লোকদের সাথে পেরে উঠতে পারছেনা বলে জানায় অনেক ভুক্তভোগী।
সরজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, সে এলাকার চিহ্নিত একজন ভূমিদস্যু। বিগত তিন চার বছর ধরে এসব কাজ করে আসছে। তার সাথে রয়েছে সোলাইমান, ওবাইদুল্লাহ নামে আরো দুই ভূমি দস্যু। তার বিরুদ্ধে গরুচুরি এবং অভিযোগ রয়েছে ১৩টা। ভূমি অফিসে রয়েছে ২টা, স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছেও রয়েছে বেশ কয়েকটি।
হাজেরা আকতার লীনা নামের এক ভুক্তভোগী জানান, আমার পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি আমাদের নামে সব ঠিক আছে এমনকি আমাদের নামে বিএস খতিয়ানও ঠিক আছে। এখন সে এসে বলে এই জায়গা নাকি তার। সে জোরপূর্বক দখল করতে চায় আমাদের জায়গা। তার বিরুদ্ধে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
আরেক ভুক্তভোগী মেরিন একাডেমী মসজিদের সাবেক ইমাম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চাতরীতে ভূমি নিয়ে সব ঝামেলা তার নাকি। হঠাৎ এখন আমার জায়গা একটা তার দলবল নিয়ে দখল করতে চায়। আমি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে বিচার দিয়েছি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। সে যদি এগুলোর মাধ্যমে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা অবনতি করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফরিদ বলেন আমি জায়গা পেলে জায়গা দখল করব না? এমন প্রশ্ন করে ফোন কেটে দেন তিনি।
বিএনএনিউজ//এইচ.এম।