বিএনএ স্পোর্টস ডেস্ক: লিভারপুলের আক্রমণভাগের দুই সেরা তারকা মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে। অ্যানফিল্ডের দুই বন্ধু মুখোমুখি হয়েছিলেন আফ্রিকা অব নেশনসের ফাইনালে। ক্যামেরুনের ওলেম্বেতে সালাহকে কাঁদিয়ে সেনেগালকে প্রথম আফ্রিকান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এনে দিয়েছেন মানে। তার জয়সূচক স্পট-কিকে টাইব্রেকারে মিসরকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে আফ্রিকা নেশনস কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেনেগানিজরা।
তার আগে ম্যাচের ৭ম মিনিটে পেনাল্টি মিস করে বসেন মানে। লিভারপুল ফরোয়ার্ডের নেওয়া স্পট-কিক রুখে দেন ফারাওদের গোলরক্ষক গাবাস্কি। অতিরিক্ত সময়েও তিনটি দুর্দান্ত সেভ করেন তিনি।
অন্যদিকে মিশরের মোহানাদ লাশিনকে হতাশ করেন চেলসির সেনেগালিজ গোলরক্ষক এদুয়ার্দ মেন্ডি। তবে সব ছাপিয়ে ম্যাচ দুটি হয়ে উঠেছিল সালাহ বনাম মানের লড়াই। যেখানে ৬০ বছরের অপেক্ষার ইতি টেনে প্রথমবারের মতো আফ্রিকা কাপের শিরোপা জিতল সেনেগাল।
এর আগে তাদের দুইবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে টুর্নামেন্টের ফাইনালে। অন্যদিকে এবার শিরোপা জিতলে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হতো মিসর। আর প্রথমবারের মতো আফ্রিকার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট উঁচিয়ে ধরতে পারতেন সালাহ। ফারাওরা শেষ আফ্রিকা নেশনস কাপ জিতেছে ২০১০ সালে।
ফাইনালে দুই দল লড়েছে সমানতালে। নির্ধারিত সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখান থেকে টাইব্রেকারে। তাতে দুই দল প্রথম শটে গোল পায়। তবে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শট মিস করে বসে মিসর। স্পট-কিক নেননি সালাহ।
সেনেগাল তৃতীয় শট মিস করলেও পঞ্চম শটে জয়সূচক গোল করেন মানে। গাবাস্কি টুর্নামেন্টে মোট চারটি গোল সেভ করলেও রানার-আপ দলেই থাকতে হলো ৩৩ বছর বয়সী গোলরক্ষককে।
বিএনএনিউজ২৪/এআর/ এমএইচ