করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সারা দেশে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেন।
প্রথম দফায় অগ্রাধিকারভিত্তিক ১৮ শ্রেণির করোনাসম্মুখ যোদ্ধা এবং ৫৫ বছর ঊর্ধ্ব নাগরিকরা বিনামূল্যে এই টিকা পাচ্ছেন।
এদিকে সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনার টিকা নেন হাইকোর্টের বিচারপতি জিনাত হক ও বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।
টিকা নেওয়ার পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, করোনা টিকা নিয়ে মানুষের ভীতি কেটে যাবে।
ইতিমধ্যেই দেশে আসা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭০ লাখ টিকা দিয়েই শুরু হচ্ছে এই টিকাদান কর্মসূচি। এর মধ্যে ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছে ২০ লাখ এবং বাংলাদেশ কিনেছে ৫০ লাখ টিকা।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস রোধে সারা দেশে আজ একযোগে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ১০০৫ কেন্দ্রে এ প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
গণটিকাদানের প্রথম দিন রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) টিকা নিয়েছেন হাইকোর্টের তিন বিচারপতি।
তারা হলেন- বিচারপতি জিনাত হক, বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস।
শনিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৩ জন নাম নিবন্ধন করেছেন। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪ টিম এবং ঢাকার বাইরে সারা দেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে ২১৯৬টি টিম টিকা প্রয়োগে যুক্ত থাকবে।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি একজন নার্স টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ওই দিন আরও ২৫ জন টিকা নেন। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে আরও ৫৪১ জনকে দেওয়া হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য এদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। খুব একটা সমস্যা না হওয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে টিকা প্রয়োগ শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনএ/এমএইচ