বিশ্বডেস্ক : ইরান সফলভাবে প্রাণী বহনে সক্ষম এমন একটি নতুন বায়ো-স্পেস ক্যাপসুল মহাকাশে প্রেরণ করেছে। বুধবার(৬ডিসেম্বর) নিজেদের তৈরি লঞ্চার ‘সালমান’ এর সাহায্যে এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় পাঠানো
হয়।
ইরানের বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অ্যারোস্পেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের এই ক্যাপসুলটি নির্মাণ করেছে।
মহাশূন্যে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে বায়ো-স্পেস ক্যাপসুল পাঠানোর কাজ সম্পন্ন করল ইরানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মহাকাশে মানুষ বা জীবন্ত প্রাণী আনা-নেয়ার কাজে বায়ো-স্পেস ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান তার বেসামরিক মহাকাশ কর্মসূচিকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
২০১০ সালে ইরান একটি ‘কাভেশগার’ বা এক্সপ্লোরার নামক ক্যারিয়ার ব্যবহার করে মহাকাশে জীবন্ত প্রাণীসহ প্রথম বায়ো-ক্যাপসুল পাঠায়।
ইরানের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইসা জারেপুর বলেন, তেহরান শিগগিরই নতুন প্রজন্মের বায়ো-ক্যাপসুলগুলোর সাব-অরবিটাল পরীক্ষা চালাবে।
তিনি আরও বলেন, ৬ডিসেম্বর যে ক্যাপসুলটি পাঠানো হয়েছে তা একজন মানুষকে বহন করার ক্ষমতা রাখে, এখন এটির সাব-অরবিটাল পরীক্ষা চলছে। মহাকাশে মানুষ পাঠাতে ইরানের আরও পাঁচ-ছয় বছর লাগবে
ইরান প্রায়শ স্যাটেলাইট ও অন্যান্য স্পেস ক্রাফটের সফল উৎক্ষেপণের ঘোষণা দেয়। সেপ্টেম্বরে, ইরান বলেছিল যে তারা মহাকাশে একটি তথ্য সংগ্রহকারী স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। ২০১৩ সালে ইরান বলেছিল যে তারা একটি বানরকে মহাকাশে পাঠিয়েছে এবং সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। সূত্র আরব নিউজ, পার্সটুডে।
বিএনএ,জিএন