বিএনএ, কুবি : বছর ঘুরে আমাদের মাঝে ফিরে আসে হেমন্ত। আবহমান কাল থেকে বাংলায় হেমন্ত নিয়ে আসে উৎসব আর আনন্দধ্বনি। ঘরে ঘরে চলে নতুন ধানের উৎসব। ছেলে বুড়ো, কিশোর কিশোরী, নবীন-প্রবীণ সবার মাঝে দেখা দেয় প্রাণচাঞ্চল্য। কৃষিভিত্তিক বাঙালী সমাজের প্রাচীন উৎসবগুলোর অন্যতম হল এই ‘হেমন্ত উৎসব’।তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগিতায় ‘কমিউনিকেশন ক্লাবের’ উদ্যোগে পালিত হয়েছে ‘হেমন্ত উৎসব-১৪২৯।’
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নাচ-গান, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে পালিত হয়েছে উৎসবটি।এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
এ ছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী,
ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান কাজী আনিসুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, হল প্রাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিকাল ৩ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের পাশে হাড়ি ভাঙ্গা এবং চেয়ার খেলার আয়োজন করে বিভাগের সংগঠন ‘কমিউনিকেশন ক্লাব’। এ ছাড়া নানা রকমের পিঠা উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন হেমন্ত উৎসবের প্রশংসা করে বলেন, এখানে এসে আমি নানা রকমের পিঠা দেখে আপ্লুত। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটা পরিবেশ চাই, যেখানে সবাই মিলেমিশে থাকবে। এখানে কোন ভেদাভেদ দেখি না, সবাই উপভোগ করছে। আমি নিজেও উপভোগ করছিলাম। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমি কখনো মিস করিনা। আমি চাই, আমার ছাত্ররা পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে যুক্ত থাকবে।
বিএনএ/ হাবিবুর রহমান, ওজি