বিএনএ ঢাকা: বাংলাদেশের কোথাও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একমাত্র বিদেশেই তার চিকিৎসা সম্ভব বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ‘৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সে সময় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোয় আইনী কোনো বাধা নেই, বাধা শুধু সরকার। খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অবস্থা, তাতে সময় ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনকে হত্যা করতে চায়। গণতন্ত্রের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা নেত্রী চিকিৎসাহীনভাবে বন্দি অবস্থায় আছেন। দ্রুত তাকে মুক্তি না দিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরুর হুঁশিয়ারিও দেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে এই সরকার জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তথ্যপ্রতিমন্ত্রীর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জবাব প্রধানমন্ত্রীকেই দিতে হবে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী এক সময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পরে ছাত্রলীগে যোগদান করেছেন। তার বক্তব্যের শেষেরটুকুই বাস্তব, তিনি যা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই বলেছেন। নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ ভূলুণ্ঠিত করে দেয়া বক্তব্যের জন্য ধিক্কৃত মন্ত্রীর বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিস্কার করতে হবে। একজন মন্ত্রী যদি এমন বক্তব্য দিতে পারে সেই সরকারের অবস্থা কী?-প্রশ্ন রাখেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সরকারের নেতৃত্বে এই দেশ আজ অসভ্য, অশালীন দেশে পরিণত হয়েছে। অনতিবিলম্বে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে নারী ও বর্ণবিদ্বেষী বিকৃত মন্তব্য প্রত্যাহার করে জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি