বিএনএ ডেস্ক: বাগেরহাটের রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা চালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মৈত্রী পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-১ যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) নয়া দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউস থেকে ভার্চুয়ালি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন তারা। এর আগে, দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে স্বাক্ষরিত সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের অধীনে ভারতীয় উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে।
১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট এ ৪০০ কেভি জিআইএস সুইচইয়ার্ড এবং ইন্টারকানেক্টিং ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে, পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশের ২৩০ কেভি গ্রিড সিস্টেমে ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। যাতে বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন খুলনার দিকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ দিয়ে গ্রীষ্মের সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (ভেল) দ্বারা বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) মাধ্যমে স্থাপন করা হচ্ছে।
এটি ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্টের বোর্ড (বিপিডিবি) মধ্যে একটি ৫০:৫০ শতাংশ যৌথ উদ্যোগ কোম্পানি। পাওয়ার প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হচ্ছে অত্যাধুনিক আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির সঙ্গে।
বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দরবনের থেকে ১৪ কিলোমিটার উত্তরে। সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পশুর নদীর তীর ঘেঁষে এই প্রকল্পে ১৮৩৪ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১০ সালে জমি অধিগ্রহণ করে বালু ভরাটের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
বিএনএ/এ আর