বিএনএ, ফেনী : ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের অন্তত ১৪ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রবিবার ফুলগাজীর জয়পুর এলাকায় ও সোমবার পরশুরামের সাতকুচিয়া এলাকায় ভাঙ্গনে ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ, তলিয়ে গেছে রোপা আমন ও শীতকালীন আগাম সবজি। বন্ধ হয়ে গেছে ফুলগাজী-পরশুরাম সড়ক যোগাযোগ।
পানির চাপ অপরিবর্তিত থাকায় দুই উপজেলায় আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১ জুলাই, ২৬ আগস্ট এবং সর্বশেষ ৫ সেপ্টেম্বর মোট তিনবার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বন্যার কবলে পড়েন ফুলগাজী ও পরশুরামের বাসিন্দারা। এসব ভাঙ্গনেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েন স্থানীয়রা। প্রতিবারই পানি নামলে ভাঙ্গন কবলিত স্থানে নামমাত্রা সংস্থার কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে স্থানীয় বানবাসিদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা নেমে এসেছে।
ফুলগাজী সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, রবিবার সকালের দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জয়পুর এলাকায় মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে পশ্চিম ঘনিয়মোড়া, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, জয়পুর, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও বৈরাগপুর এলাকা প্লাবিত হয়। এসব এলাকার রাস্তাঘাট-ফসলের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফুলগাজী পরশুরামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে পরশুরামের বক্স মাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ জাহিদ জানান, সোমবার সকালের দিকে কহুয়া নদীর পানির চাপে পূর্ব সাতকুচিয়া গ্রামে বেড়িবাঁধের একটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রবল পানির স্রোতে পূর্ব সাতকুচিয়া, পশ্চিম সাতকুচিয়া, রতনপুর, রামপুর, চিথলিয়া ও সলিয়া গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহির উদ্দীন জানান, মুহুরী ও কহুয়া নদীর ২ স্থানে নদী রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গনে বেশকিছু গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। পানির চাপ কমলেই ভাঙ্গন কবলিত স্থানে মেরামত করে দেয়া হবে। তিনি জানান, এখনো মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চাপ না কমলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিএনএ/ এবিএম নিজাম উদ্দিন/এইচ.এম।