29 C
আবহাওয়া
৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বেহাল চট্টগ্রাম

বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বেহাল চট্টগ্রাম


বিএনএ ডেস্ক :বৃষ্টি যেন থামছেই না !  কর্মদিবস ও স্কুল -কলেজ খোলার দিন হওয়াতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, চকবাজার, ডিসি রোড, ফুলতলা, বাকলিয়া, কাতালগঞ্জ, আরাকান রোড, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সড়ক, তিন পোলের মাথা, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

কোথাও কোথাও কোমর সমান পানি। খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ে অনেক ব্যবসায়ী সকাল থেকে দোকানই খুলতে পারেননি। যারা খুলেছেন তাদের সবাই দোকানের ভিতর থেকে পানি সরাতে ব্যস্ত রয়েছেন।

গত শুক্রবার বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ও রাতের দিকে পানি নেমে গেলেও পরদিন  শনিবার ভারী বর্ষণে আবার তলিয়ে যায়। প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিন জলাবদ্ধতার ব্যাপকতা কম ছিল। তবে তৃতীয় দিন জলাবদ্ধতা আরও প্রকট হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে,জোয়ার ও টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। কোথাও কোমর আবার কোথাও হাঁটু সমান পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় কষ্ট।

বাকলিয়া ফুলতলা এলাকা

আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার সড়ক ও অলিগলি ডুবে যাওয়ায় বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। জোয়ার ও বৃষ্টির পানি থৈ থৈ করায় প্রয়োজনীয় কাজে অনেকেই বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। ঘর থেকে বের হয়েই বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানান, নালা-নর্দমায় পলিথিন ও আর্বজনা জমে থাকায় পানি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তায় জমে আছে কোমর সমান পানি। হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম নগরীতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২১৮ মিলিমিটার। এরমধ্যে রোববার (৬ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৬৩ মিলিমিটার।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে সেটিকে আমরা অতি ভারী বর্ষণ বলি। এর নিচে হলে ভারী বর্ষণ । গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম নগরীতে ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তাই এটাকে অতি ভারী বর্ষণ বলা হচ্ছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যেসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে বা হবে, সেসব এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা আছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম গণমাধ্যমকে জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে আটকে যাওয়া পানি চলাচল নির্বিঘ্ন করতে খাল ও নালাগুলোর যেসব স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে আছে, সেগুলো অপসারণ করা হচ্ছে।

বিএনএ/ ওজি/ হাসনাহেনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ