বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক: পাকিস্তানে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২২ যাত্রী নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে। করাচি থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাহারা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে রোববার (৬ আগস্ট) এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাভেলিয়ানগামী হাজারা এক্সপ্রেসের প্রায় ১০টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ট্রেন দুর্ঘটনার পর সিন্ধুর অভ্যন্তরীণ জেলাগুলোতে এবং সেখান থেকে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়। এতে বড় ধরনের সম্পদের ক্ষতি ও প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অন্যদিকে রেলপথগুলো চলাচল উপযোগী করতেও সময় লাগবে। এর আগে লাইনচ্যুত বগিগুলো সরাতে হবে। আহত যাত্রীদের নবাবশাহ পিপলস মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ট্রেনটি বিপুলসংখ্যক লোক বহন করায় কর্তৃপক্ষ আহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি।
সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ জানিয়েছেন, ট্রেনটির ইকোনমি ক্লাসে ৯৫০ যাত্রীর ধারণক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি ৭২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্ট্যান্ডার্ড কোচে ১৭টি বগি রয়েছে। সাংঘার জেলায় করাচি থেকে হাভেলিয়ান যাওয়ার পথে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকাজে ১০ জন স্টেশন হাউস অফিসার, চার জেলার পুলিশ সুপার (ডিএসপি) এবং শতাধিক পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন। পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের বিপুলসংখ্যক সদস্যও সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।
দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) জেনারেল আসিম মুনিরের জারি করা বিশেষ নির্দেশের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীও দুর্ঘটনাস্থলের কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত বগি থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য এই মুহূর্তে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের মতে, দুর্ঘটনার পর আশপাশের হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ফেডারেল রেলওয়ে ও বিমান পরিবহন মন্ত্রী খাজা সাদ রফিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কেউ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আবার এটি একটি যান্ত্রিক ত্রুটিও হতে পারে। তিনি বলেন, প্রথমে আমরা ত্রাণ সরবরাহ করব। তারপর তদন্ত করব। এছাড়া সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
বিএনএনিউজ/বিএম