বিএনএ ডেস্ক: দেশে হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার খবরে সকল পরিবহন ভিড় বাড়াতে থাকে রাজধানীর ফিলিং স্টেশনগুলোতে। অপরদিকে কমতে থাকে সড়কে যানের সংখ্যা। কারণ জ্বালানির দাম বৃদ্ধির খবর পাওয়ার পর পরিবহন বন্ধ করে দেয় বাস মালিকরা। ফলে রাত ১১টা থেকে সড়কে দেখা যায়নি নগর পরিবহন। হঠাৎ বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েন নগরবাসী।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০ দিকে গেজেট প্রকাশ হলে রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, মগবাজার, কমলাপুর রেল স্টেশন ও সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ড ঘুরে কোন নগর পরিবহন দেখা যায়নি। তবে নিয়ম অনুসারে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার বাসগুলো। সকাল থেকে ওই বাসগুলো আর ছাড়বে কি না তা নিয়ে অনেকটাই দোটানায় আছেন বাস চালক, সুপারভাইজার ও টিকিট বিক্রেতারা।
যাত্রাবাড়ি বাস স্ট্যান্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার সোহাগ হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত বাসগুলো ঠিকঠাক ছেড়ে গেছে। তবে রাতে শুনেছি ডিজেলের দাম বেড়ে গেছে। কাল সকাল থেকে বাসগুলো আবার ছাড়া সম্ভব হবে কি না এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি মালিক পক্ষ থেকে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি হুট করে যে পরিমাণ তেলের দাম বেড়েছে, তাতে করে শনিবার আগের ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে না। নিশ্চয়ই মালিকও চাইবে না প্রতিটি বাসে লস দিয়ে যাত্রী পরিবহন করাতে।
শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য ভোক্তা পর্যায়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, লিটারপ্রতি অকটেন ১৩৫ টাকা ও লিটারপ্রতি পেট্রোল ১৩০ টাকা হবে। এতদিন কেরোসিন ও ডিজেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ৮৬ টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছিল।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ