মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: খোলাবাজারে সরকার কর্তৃক ন্যায্য মূল্যে বিক্রয়ের জন্য সরবরাহকৃত চাউল দোকানে বিক্রয় করে দেওয়ার অভিযোগের প্রামান পাওয়ায় ডিলার আবুল কাশেমের বরাদ্ধ বাতিল করেছেন মিরসরাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা। অভিযুক্ত ডিলার আবুল কাশেমের ডিলারশীপ বাতিল হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ডিলার মো: আবুল কাশেম বর্তমানে অসুস্থ তার পরিবর্তে তার ছেলে মেহেদি ডিলারশিপ দেখা শুনা করছেন। বাবার অনুপস্থিতে অতি লাভের আশায় স্থানীয় এক কাউন্সিলরের যোগসাজসে বাড়তি দামে ন্যায্য মূল্যের চাউল বিভিন্ন দোকানদারের কাছে বিক্রয় করে দেয়। স্থানিয়দের অভিযোগের ভিত্তিতের তার প্রমান পাওয়া যায়। উক্ত তথ্য প্রমান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা বরাবর উপস্থাপন করলে ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে ডিলার আবূল কাশেমের আগামীতে সকল বরাদ্ধ বাতিল করার ঘোষনা দেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা শামসুন নাহার স্বর্ণা।
অসুস্থ ডিলার আবুল কাশেম এই প্রতিনিধিকে জানান, আমি অসুস্থ তাই দোকান পরিচালনা করতে পারছি না। ছেলে আমার কথা শুনে না, সে কমিশনারের কথায় এমন করছে। তাকে শাসন করেন, তাকে বারন করেন যেন গরিবের চাউল বাইরে বিক্রি না করে। আমি কখনো গরিবের চাউলে অনিয়ম করিনাই।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শামসুন নাহার স্বর্ণা জানান, তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ডিলারের পুত্র মেহেদির অনিয়মের বিষয়টি পরিষ্কার। তাই জেলার অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী উপস্থিত তার সকল বরাদ্ধ বাতিল করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা শফিউল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ডিলারের বরাদ্ধ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া তার ডিলারশীপ বাতিল করা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত আসতে হবে উপজেলা কমিটি থেকে। তারা যদি সুপারিশ করেন তাহলে তার ডিলারশিপ রাখার কোন সুযোগ নেই। এবিষয়ে জানার জন্য ওএমএস কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমানের মোবাইলে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আশরাফউদ্দিন, এসজিএন